দ্য বেঙ্গল পোস্ট বিশেষ প্রতিবেদন, মালদা, ২৪ নভেম্বর: শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ! আর, সেই ‘ভবিষ্যৎ’ গড়ে দেওয়ার লক্ষ্যে জয়েন্ট বিডিও’র লাভজনক ও আকর্ষণীয় চাকরি ছেড়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে যোগদান করলেন আশিস নায়েক। মালদা জেলার বামনগোলার যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের দায়িত্ব ছেড়ে মানুষ গড়ার গুরুদায়িত্ব তুলে নিলেন তিনি! সম্প্রতি, নিজের বাড়ির কাছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছেন তিনি। আর, ‘ব্যতিক্রমী’ এই ঘটনাতেই রাজ্য জুড়ে ছড়িয়েছে উৎসাহ-উদ্দীপনার হাওয়া। সকলেই বাহবা দিচ্ছেন এই জয়েন্ট বিডিও (যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক)কে।

thebengalpost.net
জয়েন্ট বিডিও’র চাকরি ছেড়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করলেন আশিস নায়েক :

উল্লেখ্য যে, জয়েন্ট বিডিও’র পদ থেকে মাস ছয়েক আগে ইস্তফাপত্র দিয়েছিলেন আশিস। সম্প্রতি সেই ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়েছে। গত ৯ নভেম্বর রাজ্যের পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দফতরের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে তাঁকে সে কথা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, স্কুলের চাকরি ছেড়ে সরকারি আধিকারিকের কাজে যোগ দিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু, গড্ডলিকা প্রবাহে গা না ভাসিয়ে, স্রোতের বিপরীত দিকে হাঁটলেন আশিস নায়েক। তাঁর এই সিদ্ধান্তে স্বাভাবিক ভাবেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে! কেন তিনি এমন পদক্ষেপ করলেন? আশিসের সংক্ষিপ্ত জবাব, “এটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার।” এ ব্যাপারে কোনও বিতর্ক নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। আশিসের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছেন রাজ্যের সেচ দফতর এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। এক সময় কালিয়াচক কলেজের অধ্যাপিকা ছিলেন সাবিনা। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর সেই কাজ থেকে তাঁকে সরে আসতে হয়েছে। তিনি বলছেন, “প্রত্যেকের নিজস্ব সিদ্ধান্ত থাকে। উনি নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শিক্ষকতা সবচেয়ে বেশি সম্মানের কাজ। পরবর্তী প্রজন্মের উপযুক্ত শিক্ষক না থাকলে, জয়েন্ট বিডিও বা জেলাশাসক হওয়া যাবে না। যদি উনি শিক্ষকতা করেন, তা হলে ওঁকে সাধুবাদ জানাই।” সাবিনার মতে, “ওই আধিকারিক শান্তিপূর্ণ ভাবে দফতর চালাতেন। কোনও অভিযোগও আমাদের কাছে আসেনি। চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়াটা ওঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার।”

thebengalpost.net
Release Order :