দ্য বেঙ্গল পোস্ট বিশেষ প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ জুন:শেষ কবে জামাইষষ্ঠীর আগে ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে লিচু কিনেছেন মেদিনীপুরবাসী, মনে করতে পারছেন না! অন্তত গত দু’এক বছরে যে ১২০-১৫০ টাকার নিচে নামেনি লিচুর দাম, তা জানিয়ে দিচ্ছেন মেদিনীপুর শহরের সচেতন নাগরিকরা। সেই তুলনায়, আগামীকাল (৫ জুন) জামাইষষ্ঠী হলেও, শনিবার শহর মেদিনীপুরে লিচু বিকোচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। দু’দিন আগে অবশ্য ৫০ টাকাতেও বিক্রি হয়েছে লিচু। এমনটাই জানাচ্ছেন শহরের ফল বিক্রেতা থেকে সাধারণ মানুষ। জামাইষষ্ঠী’র কারণেই আজ এবং আগামীকালের জন্য কিলো প্রতি ১০ টাকা দাম বেড়েছে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। তবে, অন্তত চার-পাঁচ বছর পর ফের লিচুর দাম এত কম বলে খুশি সকলেই। স্বভাবতই, জামাইষষ্ঠীর আগে মুখে চওড়া হাসি সুব্রত দাস, বিকাশ ঘোষ, অভিনন্দন দত্ত-দের মতো জামাইদের মুখে! খুশি সঞ্জয় পাত্র, দীপক মণ্ডল, অনিমা বিশ্বাস-দের মতো শ্বশুর-শাশুড়িদের মুখেও।
ফল বিক্রেতা’রা জানাচ্ছেন এই বছর লিচুর উৎপাদন বেশি হয়েছে। তাই, ব্যাপকহারে আমদানি হচ্ছে। আর, আমদানি ভালো বলেই দাম কম। শুধু লিচু নয়, এবার সবরকম আম-ও আমদানি হয়েছে ভালোই। আমের দাম-ও মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে। আম্রপালি, হিমসাগর প্রভৃতি আম বিকোচ্ছে ১২০-১৫০ টাকা কেজি দরে। তবে, দিনকয়েক আগে তা ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে পাওয়া গেছে। বেগুন ফুলির দাম বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই ৭০-৮০ টাকা কেজি। এদিন-ও ওই দামেই বিক্রি হচ্ছে। তুলনায় দাম কমেনি আপেল, বেদানা প্রভৃতি ফলের। উল্লেখ্য যে, এই বছর-ও বাজারে যখন প্রথম লিচু আসে, তখন দাম ছিল কেজি প্রতি ১২০-১৫০ টাকা। ধীরে ধীরে আমদানি বাড়তেই কমেছে দাম। তবে, দাম এত কম হলেও, ফল বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, বিক্রি সেই তুলনায় নেই। সঞ্জয় বিশ্বাস নামে এক বিক্রেতা জানালেন, “এত কম দাম, তা সত্ত্বেও বিক্রি সেই তুলনায় নেই।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি চাকুরে জানালেন, “যা মূল্যবৃদ্ধি, সেই তুলনায় বেতন বাড়েনি! ডিএ দেননি দিদি। আমরাই সংসার চালাতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি, সাধারণ মানুষের কি অবস্থা বুঝে নিন। ইচ্ছে থাকলেও তাই কেজি কেজি আম-লিচু কেনার উপায় নেই!”