দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৬ এপ্রিল: মেদিনীপুরের ‘বীরাঙ্গনা’ রাণী শিরোমণি। পরাধীন ভারতবর্ষের প্রথম রাজনৈতিক বন্দিনী হিসেবে খ্যাত। শিরোমণি মানে তাই মেদিনীপুর তথা জঙ্গলমহলের ইতিহাস, আবেগ আর গর্ব! দ্বিতীয় চুয়াড় বিদ্রোহের নেত্রী সেই শিরোমণি’র কারাবরণের দিনটিকে (৬ এপ্রিল, ১৭৯৯) স্মরণ করে বুধবার মেদিনীপুরের ‘অদ্বিতীয়া’রা মেতে উঠলেন রক্তদান উৎসবে। সম্পূর্ণভাবে মহিলা পরিচালিত মেদিনীপুরের সংগঠন ‘অদ্বিতীয়া’র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় এদিনের কর্মসূচি। মহিলাদের মধ্যেও রক্তদানের উৎসাহ বাড়িয়ে তুলতে, বুধবার মেদিনীপুর শহরের রবীন্দ্র নিলয় প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত হলো এই রক্তদান উৎসব। শিবিরে মোট ৩৯ জন মহিলা রক্তদান করেন। এঁদের মধ্যে অনেকেই এই প্রথমবার রক্ত দিলেন। এছাড়াও, এঁদের মধ্য এমন চার জন ছিলেন, যাঁরা সদ্য আঠারোতে পা রেখেছেন।
রবীন্দ্রনাথ ও রাণী শিরোমণির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও চারাগাছে জল ঢেলে শিবিরের সূচনা হয়। এদিনের শিবিরে ‘মেদিনীপুরের গর্ব’ তথা রাষ্ট্রপতির পুলিশ মেডেল পুরস্কারে ভূষিত মহিলা পুলিশ কর্মী কবিতা দাস-কেও সম্মানিত করলো ‘অদ্বিতীয়া’। উল্লেখ্য যে, বর্তমানে সালুয়া পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের প্রশিক্ষক হিসেবে লেডি ইন্সপেক্টর কবিতা দাস কর্মরত। এদিনের শিবিরে রক্তদাতাদের উৎসাহিত করতে উপস্থিত ছিলেন, বিধায়ক তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজিত মাইতি, এমকেডিএ’র চেয়ারম্যান বিধায়ক দীনেন রায়, বিশিষ্ট শিল্পোদ্যোগী আনন্দগোপাল মাইতি, বিশিষ্ট শিল্পোদ্যোগী চন্দন বসু, সমাজকর্মী-লেখিকা রোশেনারা খান, আইনজীবী তীর্থঙ্কর ভকত, বিশিষ্ট শিক্ষাব্রতী সত্যব্রত দোলই, মেদিনীপুর পৌরসভার কাউন্সিলর তথা চিকিৎসক গোলোকবিহারী মাজি প্রমুখ। অদ্বিতীয়া’র পক্ষে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পাঞ্চালি চক্রবর্তী।