দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ মে: “এই-সব মূঢ় ম্লান মূক মুখে/ দিতে হবে ভাষা!” কবিগুরুর বাণীকেই যেন পাথেয় করেছেন থানার বড় বাবু। এগিয়ে এসেছেন, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য বৃন্দ তথা সমাজকর্মীরা। উদ্দেশ্য, আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামের দারিদ্র্য পীড়িত পরিবারের অসহায় শিশু গুলির মুখে শিক্ষার আলোক বর্ষণ করা! কারণ, একমাত্র শিক্ষাই পারে, প্রগাঢ় অন্ধকারের নিকষ কালো অভিশাপ থেকে প্রাণপণে একটা সমগ্র সমাজ, জাতি কিংবা সভ্যতা-কে মুক্ত করে আলোয় আলোয় ভরিয়ে দিতে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জঙ্গল ঘেরা শালবনী ব্লকের তেমনই এক পিছিয়ে পড়া গ্রাম বুড়িশোল। অশিক্ষা আর অজ্ঞানতার অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকা এই গ্রামটিকেই তাই বেছে নেওয়া হয়েছে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার জন্য। বুড়িশোলের দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের শিশু’রা যেন পড়াশোনার প্রাত্যহিক জগৎ থেকে শত হস্ত দূরে! গ্রামের দশ মিটারের মধ্যেই প্রাথমিক স্কুল, তবে দারিদ্র্য আর অতিমারীর বিভীষিকায় দৈনন্দিন পড়াশোনার অভ্যেস থেকে শিশুরা যেন ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করেছিল! আর, তাই এই গ্রামেই হয়েছে প্রভাতের পাঠশালা। প্রত্যহ সকালে বুড়িশোল যাতে বর্ণপরিচয়ের কলরবে মুখরিত হয়, সেজন্যই এই সম্মিলিত উদ্যোগ!
শালবনী থানার আইসি গোপাল বিশ্বাস, স্থানীয় বুড়িশোল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ ঘোষ, এলাকার বাসিন্দা তথা গ্রামীণ চিকিৎসক হারাধন দুয়ারী প্রমুখদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবং স্থানীয় ‘ছত্রছায়া’ নামক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় রবিবার (১৫ মে) থেকে প্রত্যন্ত এই বুড়িশোল গ্রামে শুরু হয়েছে প্রভাতের পাঠশালা। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের আকাশ, ঝিলিক, শ্রেয়া পূজা- রা এবার থেকে নিয়মিত পড়াশোনা করবে, এটাই সকলের স্বপ্ন! গ্রামের-ই বাসিন্দা, গৃহবধূ অপরূপা পাল এগিয়ে এসেছেন ওদের পাঠদান করতে। পাঠশালাটি সামগ্রিকভাবে দেখাশোনা করবেন স্থানীয় প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ বাবু-ই। তাঁর মতে, “বিদ্যালয় আছে, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও আছেন। তবে, দারিদ্র্য আর অসচেতনতার অন্ধকারে ডুবে থাকা গ্রামের পুরুষ-মহিলারা শিক্ষা-দীক্ষা বা ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা নিয়ে একেবারেই উদাসীন! ফলে, প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা পড়াশোনার অভ্যেস ওদের নেই। আমরা স্কুলে চেষ্টা করলেও, মিড-ডে মিলের প্রতি ওদের যতখানি টান বা ভালোবাসা, পড়াশোনার প্রতি ততখানি নেই! তাছাড়াও, বছরের বিভিন্ন সময়ে স্কুল ছুটি থাকে। তাই, পড়াশোনার প্রতি ওদের ধারাবাহিক আগ্রহ এবং গ্রামে পড়াশোনার একটা সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনতেই শালবনী থানার বড়বাবু এই উদ্যোগ নিয়েছেন। আমরা সকলে মিলে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি।” ‘ছত্রছায়া’র তরফে নুতন ঘোষ বললেন, “দারিদ্র্য অধ্যুষিত এই বুড়িশোল গ্রামে আমরা নানাভাবে সমাজসেবা চালিয়ে যাচ্ছি। গ্রামবাসীদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। অবশ্যই প্রতিটি ক্ষেত্রে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা পেয়েছি। এবারও, উদ্যোগটা থানার বড়বাবুরই। আমরা শুধু সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছি। ওই মৌন মলিন মুখ গুলিতে শিক্ষা আর সমৃদ্ধি’র হাসি ফোটানোই আমাদের সবার স্বপ্ন!”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…