দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ নভেম্বর: বর্তমান সময়ে অভিবাবকদের মাথা ব্যথার অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে- ফ্রিফায়ার (Free fire), পাবজি (Pubg)’র মতো বিদেশী মোবাইল গেমগুলি। সব কিছু ভুলে নবীন প্রজন্ম ডুব দিচ্ছে এই বিদেশি গেমের নেশায়! পড়াশোনা, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য তো নষ্ট হচ্ছেই, কখনো কখনো চরম দুর্ঘটনাও ঘটে যাচ্ছে। কেউবা মৃত্যুকে ডেকে আনছে আবার কেউ ডুবে যাচ্ছে মানসিক অবসাদে! সুন্দর বিকেলগুলিও এখন আর খোলা মাঠে কাটায় না এই প্রজন্ম; বরং মোবাইলে মাথা গুঁজে গোষ্ঠীবদ্ধভাবে খেলে এই বিদেশী গেম। শহর থেকে গ্রাম প্রতিটি জায়গায় এখন ছড়িয়ে পড়েছে এই ধরনের ‘ভয়াবহ’ বিদেশি গেম! বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রীয় সরকার এই ধরনের গেম নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও, তৈরি হয়ে যাচ্ছে বিকল্প গেমিং অ্যাপ। তাই, এবার বোধহয় সময় এসেছে বিকল্প পথে এই আসক্তি থেকে নবীন প্রজন্মকে দূরে সরিয়ে রাখার। রবিবার ‘শিশু দিবস’ (১৪ নভেম্বর) উপলক্ষে, তেমনই এক প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা গেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর সদর ব্লকের বেঙ্গাই গ্রামে। উদ্যোগী সংঘ ক্লাব উদ্বোধন করলো বিনামূল্যে ‘খো খো প্রশিক্ষণ শিবির’ এর। ক্লাব কর্তারা জানিয়েছেন, তাঁদের উদ্যেশ্য মূলত মোবাইল গেমে আসক্ত ছেলে-মেয়েদের মাঠমুখী করে তোলা এবং ক্রীড়া প্রতিভা তুলে আনা। রবিবার, শিশু দিবসের দিন প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বর্তমান জাতীয় খো খো দলের সহকারী কোচ প্রভাংশু রায় (নন্দন)। অপরদিকে, এই বিশেষ দিনে প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত থেকে, ১৫০ জন কচিকাঁচার মধ্যে পুষ্টিকর খাবার বিতরণ করে, তাঁদের উৎসাহিত করেন সংকল্প ফাউন্ডেশনের সদস্যরা। উপস্থিত ছিলেন, সমাজকর্মী গোপাল সাহা সহ অন্যান্য সদস্যরা। উদ্যোগী সংঘের সভাপতি রাহুল কোলে জানান, বর্তমানে মোবাইল গেম নবীন প্রজন্মকে পঙ্গু বানিয়ে দিচ্ছে! তাই এই আসক্তি থেকে ছেলে-মেয়েদের বের করে, তাদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত ক্রীড়া-প্রতিভার বিকাশ ঘটানোই আমাদের লক্ষ্য। এছাড়াও, এদিন মালদা থেকে ৮ জন বাইক রাইডার এসেছিলেন। তাঁদের বার্তা- ‘এক ফোঁটা রক্ত জীবনের বিকল্প’ এবং ‘মৃত্যু পরবর্তী অঙ্গদান’। তাঁদের স্বাগত জানান সংঘের সদস্য, সংকল্প ফাউন্ডেশনের সদস্য সহ গ্রামবাসীরা।
অন্যদিকে, রবিবার, শিশু দিবসের দিনই মেদিনীপুর শহরের আইকন চ্যারিটেবিল ট্রাস্টের উদ্যগে মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন কর্ণগড় গ্রামে “ভোরের আলো” নামক পাঠশালার উদ্বোধন করা হয়। দরিদ্র ও অসহায় শিশুদের সম্পূর্ণ অবৈতনিক ভাবে প্রত্যহ পঠনপাঠন করানোর লক্ষ্যে এই পাঠশালার উদ্বোধন করা হয়। সংস্থার পক্ষ থেকে সম্পাদক সুশোভন মন্ডল জানান, “মোট ৩৫ জন বাচ্চা দিয়ে এই পাঠশালা শুরু হয়েছে। আগামীদিনে আরো বাচ্চার দায়িত্ব আমরা নেব। স্কুল শিক্ষার পাশাপাশি আমরা ছবি আঁকা, গান, বাজনা, আবৃত্তি এগুলিরও পাঠদান করবো আগামীদিনে।” শিশু দিবসের দিনে এই ‘পাঠশালা’ উপহার পেয়ে খুশি এলাকাবাসী, অভিভাবক ও কচিকাঁচারা। সংস্থার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, সভাপতি হরেকৃষ্ণ মাহাত, কোষাধ্যক্ষ আশিস দাস, সহ সভাপতি বরুণ হাজরা, সহ সম্পাদক রাজীব মান্না প্রমুখ এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান চন্ডী চক্রবর্তী।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: দোকান বন্ধ করে রাতেই বেরিয়েছিলেন বাইক নিয়ে।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…