দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৬ জুন:অতিমারী কিংবা রক্ত-সঙ্কট, ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ থেকে আবালবৃদ্ধবনিতা’র কাছে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া, জঙ্গল ঘেরা শালবনীর অন্যতম সহায় জঙ্গলমহল উত্তরণ ঐক্য মঞ্চ। ‘টিম জগন্নাথ’ বললেও বোধহয় খুব একটা ভুল হয়না! ইদানিং অবশ্য, শালবনী ছাড়িয়ে জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন প্রান্তেই ছড়িয়ে পড়ছে জগন্নাথ আর তার টিমের মানবিক কর্মকাণ্ডের পরিচয়। জগন্নাথ সহ তার সঙ্গীরা বলেন, জঙ্গল অধ্যুষিত প্রান্তিক এলাকার আপাত নিরীহ সহজ-সরল মানুষগুলির চরম অসহায়তা, দুর্ভোগ-দুর্দশা বড় কষ্ট দেয়। তাই, বারেবারে তাঁদের কাছেই ছুটে যান জঙ্গলমহল উত্তরণ ঐক্য মঞ্চের সদস্যরা। বিশ্ব পরিবেশ দিবসের আগের দিন, শনিবার (৪ জুন)-ও যেমন ছুটে গিয়েছিলেন জগন্নাথ-রা! জগন্নাথের আহ্বানে সাড়া দিয়ে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের একঝাঁক MBBS এবং MD চিকিৎসক-ও সঙ্গী হয়েছিলেন। তাঁরা সঙ্গে নিয়েছিলেন প্রায় সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ ওষুধপত্র। এমনকি, মহিলাদের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন-ও! শনিবার দুপুরটা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের আড়াবাড়ি গ্রাম খানি যেন হয়ে উঠেছিল একটা ‘মিনি হাসপাতাল’।

thebengalpost.net
লাইন গ্রামবাসীদের:

গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক সাধারণ মানুষ পরিষেবা পেলেন বৃহৎ এই স্বাস্থ্য শিবির থেকে। সাধারণ রোগজ্বালা থেকে স্ত্রী ও প্রসূতি, শিশু, চর্ম, দন্ত- প্রভৃতি প্রায় সমস্ত ধরনের স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দেওয়া হয়েছে এদিন। মহিলাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে স্যানিটারি ন্যাপকিন। চার জন এম.ডি চিকিৎসক ছাড়াও প্রায় ২৫-৩০ জন এমবিবিএস পাস চিকিৎসক বা হাউস স্টাফ এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন। শালবনীর কর্ণগড় (ডাঙরপাড়া) এলাকার সমাজকর্মী জগন্নাথ পাত্রের আহবানে সাড়া দিয়ে এভাবেই তাঁরা মানবিকতার হাত প্রসারিত করে দেন। উপস্থিত ছিলেন, সমাজকর্মী গোপাল সাহা, মণিকাঞ্চন রায় প্রমুখ। আড়াবাড়ি গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা পেয়ে যারপরনাই খুশি! তাঁরা ছড়িয়ে দিয়েছেন আশীর্বাদের বন্যা। এতেই খুশি জগন্নাথ, ঋজু সহ টিম জঙ্গলমহল উত্তরণ ঐক্য মঞ্চ। খুশি চিকিৎসক সৌরভ মন্ডল, শিলাদিত্য মিশ্র, সৌরিন ঘোষ, ঋতম দাস, সমীরণ দাস, সন্দীপ পাল-রাও।

thebengalpost.net
মুখোমুখি:

thebengalpost.net
জগন্নাথ পাত্র (সাদা জামা) এবং তাঁর সঙ্গে গোপাল সাহা: