তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৯ আগস্ট: যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। সেই চুল প্রয়োজনে দান করতেও জানে! শুধুই কি চুল দান, পশ্চিম মেদিনীপুরের নারী মহীয়সী-রা এবার এগিয়ে এলেন মরণোত্তর দেহদান ও চক্ষুদানের অঙ্গীকার করতেও। নবজাগরণের অগ্রদূত, নারী শিক্ষার পথ-প্রদর্শক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ঘাটালে রবিবার এমনই এক মহৎ আয়োজন করা হয়েছিল, রেডক্রশ সোসাইটি ও মহকুমা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে। মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস স্বয়ং সক্রিয় ভূমিকা পালন করলেন অনন্য এই কর্মসূচি সফল করতে। তাঁর কার্যালয়েই রীতিমতো উৎসবের মেজাজে সবমিলিয়ে একশো’র বেশি মহিলা এই শিবিরে অংশগ্রহণ করলেন।

দিনের শেষে জানা গেল, ৪৩ জন মহিলা ক্যান্সার রোগীদের জন্য চুল দান করলেন এবং চক্ষুদান ও মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করলেন যথাক্রমে- ৩১ ও ৩৪ জন। রবিবার সকাল থেকেই মহকুমা প্রশাসনের দপ্তরে উপস্থিত হয়ে যান স্কুল-ছাত্রী থেকে নৃত্যশিল্পী, গৃহবধূ থেকে প্রবীণারা। মহা-উৎসাহে তাঁরা কেউ চুল দান করলেন, কেউবা মরণোত্তর দেহদান ও চক্ষুদানের অঙ্গীকার করলেন। কলেজ ছাত্রী প্রিয়াঙ্কা পাত্র কিংবা নৃত্যশিল্পী বর্ণালী পণ্ডিত’রা জানালেন, “এভাবে মানুষের পাশে থাকার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য, মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাসের প্রতি আমরা চিরকৃতজ্ঞ থাকব।” আর, মহকুমাশাসক বললেন, “২৫ আগস্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্বর, এই ১৫ দিন ধরে চলবে জাতীয় চক্ষু দান পক্ষ। তা সার্থক করে তুলতেই এই উদ্যোগ। ক্যান্সার রোগীদের জন্য চুল দানের মহৎ কর্মসূচিও এর সঙ্গে আমরা যুক্ত করেছি।”
