তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১ জানুয়ারি:বর্ষবরণের রাতে আনন্দ, হই-হুল্লোড়ে মেতে উঠলেন সাধারণ মানুষ। তবে, দারিদ্র্য অধ্যুষিত প্রান্তিক এলাকার মানুষগুলি অবশ্য দূর থেকেই এসব দেখতে অভ্যস্ত। বয়স্ক, দুঃস্থ মানুষগুলি বরং হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় শীতের রাতগুলি কিভাবে কাটাবেন, সেই দুঃশ্চিন্তা নিয়েই বাঁচেন। তবে, মাঝেমধ্যে তাদের দুঃশ্চিন্তা দূর করতে ‘কল্পতরু’ রূপে হাজির হন কেউ কেউ! শুক্রবার সন্ধ্যায়, বছরের শেষ দিনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমার এমনই এক প্রান্তিক ও দুঃস্থ এলাকার শ্যামলী, চুনিবালাদের কাছে হাজির হলেন তাঁদের প্রিয় বিডিও সাহেব অমিত ঘোষ। আর, কল্পতরু উৎসবের ঠিক আগের দিনই, এভাবেই তিনি যেন অসহায় মানুষগুলোর কাছে হয়ে উঠলেন সাক্ষাৎ কল্পতরু!

thebengalpost.net
অসহায় বৃদ্ধের হাতে শীতের কম্বল :

শুক্রবার সন্ধ্যা পড়ার আগেই, টুনি, শ্যামলী, চুনিবালারা শুনতে পান, তাঁদের দরজায় কেউ যেন একজন কড়া নাড়ছেন! দরজা খুলে দেখেন, অপরিচিত মানুষটি ঠাকুমা কাকিমা বলে ডাক দিচ্ছেন আর তাঁদের জন্য শীতবস্ত্র নিয়ে হাজির হয়েছেন! সাথে তিনি এলাকার লোকজনকে বলছেন, “করানোর তৃতীয় ঢেউ আসছে, যখন বাইরে বের হবেন মাক্স পরে বেরোবেন। বার বার সাবান দিয়ে হাত ধোবেন”। গ্রামবাসীরা ভাবেন লোকটি কে? পরে জানতে পারেন, আর কেউ নন, তাঁদের এলাকার বিডিও সাহেব অমিত ঘোষ। টুনি, শ্যামলী বলেন, “এতদিন তো জানতাম কোনো কিছু পেতে গেলে বিডিও অফিসে বা পঞ্চায়েত অফিসে যেতে হয়। এ কেমন বিডিও! বাড়িতে এসে শীত বস্ত্র তুলে দিচ্ছেন”! শীতের রাতে আনন্দে আপ্লুত চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের পিছিয়ে পড়া আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার মানুষগুলি। শুক্রবার বিকেলের পর থেকে এভাবেই, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের পিছিয়ে পড়া আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় গিয়ে শীতবস্ত্র তুলে দিলেন বিডিও অমিত ঘোষ। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের হাতে তুলে দিলেন শীতের পোশাক। পাশাপাশি করোনা তৃতীয় ঢেউ নিয়ে সচেতন করলেন গ্রামবাসীদের।

thebengalpost.net
বিডিও সাহেব যেন হয়ে উঠলেন সাক্ষাৎ কল্পতরু :

thebengalpost.net
শিশুদের হাতে তুলে দিলেন শীতের পোশাক :