দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ এপ্রিল: বৌদির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের জেরে স্ত্রী-কে খুন করার মারাত্মক অভিযোগ! গ্রেফতার ‘গুনধর’ স্বামী। খুনে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, শ্বশুর-শাশুড়ি ও জা-ভাসুরের বিরুদ্ধেও। তবে, তারা পলাতক। খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের রায়গড় মেগাখাম গ্রামে। মৃত গৃহবধূর নাম ববিতা রায়। বয়স মাত্র ২৭। বুধবার রাতের এই ঘটনায় শালবনী থানার পুলিশ ববিতা’র মৃতদেহ উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে এবং তাঁর বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী (বয়স আনুমানিক ৩৫) প্রকাশ ঘোষ-কে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার তাকে আদালতে তোলা হবে।

thebengalpost.net
মেদিনীপুর মেডিক্যালে ববিতার নিথর দেহ :

মৃতা ববিতার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১১ সালের ১৪ আগস্ট শালবনীর মেগাখামের বাসিন্দা প্রকাশ ঘোষের সঙ্গে বিয়ে হয় মেদিনীপুরের আমতলার বাসিন্দা লালু রায়ের মেয়ে ববিতার। বাপের বাড়ির অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই টাকা পয়সার জন্য মেয়ের উপর অত্যাচার চালাত শ্বশুর বাড়ির লোকেরা! এর মধ্যেই, মৃতার স্বামী প্রকাশ ঘোষের সঙ্গে তার বৌদির বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরী হয়। যা জানতে পারায় প্রতিবাদ করে ববিতা। অভিযোগ, এরপরই তার উপর আরও শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন আরও বাড়তে থাকে। বুধবার রাতে হঠাৎই ববিতার শ্বশুর বাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয়, ববিতা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে! এরপরই ববিতার বাপের বাড়ির লোকেরা শালবনী থানায় খবর দিলে, শালবনী থানার পুলিশ দ্রুত পৌঁছে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে গভীর রাতেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন! বৃহস্পতিবার দুপুরে মৃতার পরিবারের তরফে শালবনী থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনায় মৃতার স্বামী প্রকাশ ঘোষকে প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেফতার করেছে শালবনী থানার পুলিশ। অন্যদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক মৃতার শ্বশুর, শাশুড়ি এবং জা ও ভাসুর। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শালবনী থানার পুলিশ। তবে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার আগে এই বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি পুলিশ আধিকারিকরা। এদিকে, এই ঘটনায় অভিযুক্তদের প্রত্যেকের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ববিতার পরিবারের লোক থেকে শুরু করে এলাকাবাসী।