দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৪ ডিসেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জঙ্গলমহল শালবনীর কর্ণগড় গ্রামে প্রসিদ্ধ ছিল মা মহামায়ার মন্দির ও রাণী শিরোমণির স্মৃতিবিজড়িত ধ্বংস্বপ্রাপ্ত গড়। তবে, রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রাণীর নামে ট্রেন চালু করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কর্ণগড়ের শিরোমণি-কে। পরবর্তীতে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে সহায়তা করেন কর্ণগড় মন্দিরকে ঘিরে ইকো টুরিজম এর। এছাড়াও, রাজ্যসভার সাংসদ থাকাকালীন কুনাল ঘোষ সাংসদ তহবিলের টাকা দিয়ে মন্দিরের উন্নতিকল্পে দান করেন। শালবনীর সেই সময়কার বিডিও সঞ্জয় মালাকারের নজরে আসে রাণী শিরোমনির স্মৃতি বিজড়িত ‘গড়’ দাঁড়িয়ে আছে প্রায় ধ্বংসের মুখে! শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির সহায়তায় এলাকাটির আশেপাশের পরিকাঠামো উন্নয়ন, নদীতে ব্রীজ তৈরীর কাজ শুরু হয়। ইতিমধ্যেই, শালবনীর সেই সময়কার বিডিও সঞ্জয় মালাকারের মাধ্যমে বিষয়টিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমল। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ নেপাল সিংহ, শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিনু কোয়াড়ি, কর্মাধ্যক্ষ সন্দীপ সিংহ প্রমুখ। কর্ণগড় গড়ে ইকো-ট্যুরিজম প্রসারের উদ্দেশ্যে নতুন কটেজ নির্মাণ, ক্যাফেটেরিয়া নির্মানের কাজ এলাকায় পরিবেশবান্ধব পার্ক তৈরী করে পর্যটন শিল্পের প্রসারের কাজ শুরু করে জেলা ও ব্লক প্রশাসন। ২০২১ এর নির্বাচনে জুন মালিয়া এলাকার বিধায়িকা নির্বাচিত হওয়ায় গতি বাড়ে কাজে। সবমিলিয়ে গত ১০ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় এই গড়টির।
এদিকে, করোনা মহামারীর প্রথম পর্যায়ে কাজ চলাকালীন কর্ণগড় ‘গড়’ এর রাজাদের নাম স্মরণে রাখার জন্য এবং এখানাকার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন অনুসন্ধানের দাবিতে, অখিল ভারত ক্ষত্রিয় সমাজের তরফে তন্ময় সিংহ, শুভাশিস সিংহ প্রমুখেরা স্মারকলিপি দেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমলকে শালবনীর বিডিও সঞ্জয় মালাকারের মাধ্যমে। সঞ্জয় মালাকার প্রতিশ্রুতি দেন, কটেজগুলোর নাম রাজাদের নাম অনুসারে নামকরণের। অবশেষে, নবরূপে গড় উদ্ধোধনের পর প্রশাসন কথা রাখায় খুশি অখিল ভারত ক্ষত্রিয় সমাজ। সমাজের তরফে জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমল এবং প্রাক্তন বিডিও সঞ্জয় মালাকারকে ধন্যবাদ জানানো হয়। তবে, অখিল ভারত ক্ষত্রিয় সমাজ ও মন্দির কমিটির তরফে গড়ের মধ্যে সুইমিং পুল ও ক্যাফেটেরিয়া গঠনের প্রস্তাব নিয়ে ক্ষোভ আছে! শুভাশিস সিংহ জানান, তাঁরা চান গড়ের বাইরের খালি জায়গায় ক্যাফেটেরিয়া হোক ও সুইমিং পুল পদ্মপুকুরের পরিবর্তে অন্যত্র হোক। তাঁরা এও জানান, রাণী শিরোমনির স্মৃতিবিজড়িত পদ্মপুকুরের ঐতিহ্য রক্ষায় ও গড়ের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন অনুসন্ধানের দাবিতে অখিল ভারত ক্ষত্রিয় সমাজের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হবে।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: দোকান বন্ধ করে রাতেই বেরিয়েছিলেন বাইক নিয়ে।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…