দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২ মে: মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় (Madhyamik Results 2024) এবার জায়গা পেয়ছে ৫৭ জন ছাত্র-ছাত্রী। এর মধ্যে, অখন্ড মেদিনীপুরের ১২ জন। পূর্বের ৭ জন, পশ্চিমের ৩ জন এবং ঝাড়গ্রামের ১ জন জায়গা করে নিয়েছে মেধাতালিকায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের ৪ জনের মধ্যে একমাত্র ছাত্রী হিসেবে মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়েছে মেদিনীপুর মিশন গার্লস হাই স্কুলের তনুকা পাল। জেলায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করার সাথে সাথেই তনুকা রাজ্যব্যাপী মেধাতালিকায় অষ্টম স্থান অধিকার করেছে। তনুকা-র প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬। তনুকার বাড়ি মেদিনীপুর শহরের বিধাননগরে। বাবা দেবব্রত পাল পেশায় সিভিল ইনজিনিয়ার। মা নিবেদিতা পাল গৃহবধূ।

thebengalpost.net
তনুকা পাল:

তনুকা-ও বাবার মতোই বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। এ প্রসঙ্গে এও উল্লেখ্য যে, মাধ্যমিকে ষষ্ঠ স্থানাধিকারী (জেলায় প্রথম) মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের কৌস্তভ সাহুও ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। কৌস্তভ ও তনুকা দু’জনেরই বার্তা, “পাঠ্যপুস্তক (টেক্সট বুক) ভালোভাবে খুঁটিয়ে পড়তে হবে।” তনুকা পড়াশোনা ছাড়াও নাচ, গান এবং অঙ্কনেও পারদর্শী। তনুকা জানায়, মাত্র ৫-৬ ঘন্টা মন দিয়ে পড়াশোনা করলেই সাফল্য পাওয়া যায়। সে এও জানায়, “প্রতিটি বিষয়েই গৃহ শিক্ষক ছিলেন। স্কুলের আবদানও অনস্বীকার্য। তবে, আমি কখনোই খুব বেশি চাপ নিইনি। মন খুলে পড়াশোনা করেছি।” বিদ্যালয়ে প্রথম নয়, তনুকা তৃতীয় স্থান দখল করত বরাবর। এমনকি টেস্ট পরীক্ষার ফলাফলেও তনুকা বিদ্যালয়ে তৃতীয় স্থানই অর্জন করেছিল। তনুকা জানায়, “মাধ্যমিক পরীক্ষা খুব ভালো হয়েছিল। ভালো রেজাল্ট হবে আশা করেছিলাম। তবে, এতটাও আশা করিনি!” তনুকা-র দিদি আছেন। তিনি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা করছেন। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য তনুকা-র বার্তা, “বেশি চাপ নেওয়ার প্রয়োজন নেই! ভালোবেসে পড়াশোনা করলেই সাফল্য পাওয়া যাবে।”