দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ২১ জুলাই:”কোর্টে কেস চলছে তাই, নাহলে আমাদের ১৭ হাজার পোস্ট রেডি আছে!” শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গে ফের একবার ধর্মতলার শহীদ সমাবেশ থেকে এমনটাই ঘোষণা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, তারপরই যে বিষয়গুলি নিয়ে তিনি বিজেপি থেকে বাম নেতা তথা আইনজীবী (কলকাতা হাইকোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট) বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যদের ‘তুলোধুনা’ করলেন, তাতেই মমতার ঘোষণায় এবার সত্যি সত্যিই ‘দুঃশ্চিন্তায়’ পড়লেন চাকরি যাওয়ার আশঙ্কায় থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকারা! মমতা বললেন, “আমরা চাই চাকরি হোক, বিজেপি চায় চাকরি যাক! ওই জন্য ওরা কুটুস কুটুস করে পিঁপড়ের মতো কামড় দিচ্ছে। একদিক দিয়ে আমাকে বন্ধ করলে, আমি অন্য দিক দিয়ে চালু করব। আমি জানি, রাস্তা কি করে বের করতে হয়!” তাঁর এই ঘোষণা’র পরই ‘মাথা চুলকোচ্ছেন’ সেই সব শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শিক্ষক পদপ্রার্থী বেকাররাও। সবার চিন্তা একটাই, ‘১৭ হাজার চাকরি তবে কাদের জন্য?’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অঙ্কিতা অধিকারী সহ একাধিক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি কেড়ে নেওয়ার পর (দুর্নীতির কারণে, আইন মেনে ‘বাতিল’ এর নির্দেশ দেওয়ার পর) থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথায় ঘুরছে ‘১৭ হাজার শিক্ষকের চাকরি রেডি!” এর আগেও তিনি একটি সভা থেকে এই ঘোষণা করেছিলেন। তাঁকে এও বলতে শোনা গিয়েছিল, “কারুর চাকরি যেতে দেবোনা! আমি মুশকিল আসান।” আজ (২১ জুলাই), ফের শহীদ সমাবেশ থেকে তাঁর ঘোষণা, “আমার সব রাস্তা জানা আছে!” শিক্ষিত বেকাররা তাই ইতিমধ্যে শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন সমাজমাধ্যম গ্রুপে দাবি করছেন, “দুর্নীতির বিষয়টি প্রমাণিত হলে, যে সমস্ত শিক্ষকদের চাকরি যাবে, তাঁরাই বোধহয় বিকল্প পদ্ধতিতে এই ১৭ হাজার পদে নিযুক্ত হবেন।” অন্যদিকে, ‘ঘুরপথে’ যাঁরা শিক্ষক হয়েছেন, তাঁরাও ভাবতে শুরু করেছেন, “তবে কি সত্যি সত্যিই চাকরি চলে যাবে?” যদিও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন স্লোগান তুলেছেন, “চাকরি কাড়া সরকার, আর নেই দরকার!” তাঁর আক্রমণের নিশানায় নিঃসন্দেহে বিজেপি সরকার। কারণ, তাঁর ধারণা সব ‘মামলা’ বিজেপি-ই করাচ্ছে! একইসঙ্গে, সিপিআইএম পার্টি আর ‘দুঁদে’ আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য-কেও আক্রমণ শানিয়ে বলেছেন, “১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকায় চাকরি বিক্রি হয়েছিল সিপিএম আমলে!” তিনি এও বলেন, “ছেলেরা পার্টি করবে আর বউরা চাকরি করবে, এই নীতিতে চাকরি দিয়েছিল সিপিএম। খোঁজ নিয়ে দেখুন, ওদের মুখপত্র (গণশক্তি)-এর সব সাংবাদিকের বউ চাকরি করে।” বিকাশ বাবু-কে হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, “খুলব নাকি বার্থ সার্টিফিকেটের ফাইল?” উল্লেখ্য যে, বাম জমানার শেষের দিকে কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ছিলেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। সেই সময়ই ‘বার্থ সার্টিফিকেট’ নিয়ে দুর্নীতি হয়েছিল বলে মুখ্যমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…