দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৬ ডিসেম্বর: গত ২২ ডিসেম্বর (২০২২) কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু’র নির্দেশ মেনে জেলায় জেলায় পৌঁছে গেল বেআইনিভাবে বা ওএমআর OMR) কারচুপির মাধ্যমে নিযুক্ত ১৬৯৪ জন শিক্ষাকর্মী (গ্রুপ-ডি বা চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী)’র তালিকা। প্রতিটি জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক (DI/ District Inspector)-দের কাছে শিক্ষা দপ্তরের মাধ্যমে এই তালিকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। আগামী ২৪ জানুয়ারি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু’র এজলাসে পুনরায় এই মামলা উঠবে বলে জানা গেছে। তার আগে এই তালিকা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় পরিদর্শক ও স্কুলগুলোতে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বসু। আগামী ২৪ জানুয়ারি তিনি এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিতে পারেন বলে জানা গেছে। তবে, ১৬৯৪ জনকেই মামলায় পার্টি করে তাঁদের বক্তব্য শুনবেন বিচারপতি। তারপরই চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া হবে বলে ২২ ডিসেম্বরের শুনানিতে জানিয়েছিলেন বিচারপতি বসু।
উল্লেখ্য যে, সিবিআই (CBI)- এর তরফে আদালত এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ইতিমধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে ১৬৯৮ জন শিক্ষাকর্মী বা গ্রুপ-ডি কর্মীর (এস এস সি’র হিসেবে ১৬৯৪) নম্বর ওএমআর (OMR) কারচুপি’র মাধ্যমে বাড়ানো হয়েছে। এমনকি, এই সমস্ত কর্মীদের মধ্যে বেশিরভাগ জনই ‘সাদা ওএমআর’ (Blank OMR) জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন বলেও সিবিআই জানিয়েছে। ইতিমধ্যে প্রকাশিত (কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে) ১০০-টি ওএমআরে সেই তথ্য প্রকাশ্যেও এসেছে। এরপরই, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু’র নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশন ১৬৯৪ জন শিক্ষাকর্মী’র তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলার ডি.আই-দের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকা প্রকাশ্যে আসার পর দেখা যাচ্ছে যে, সবথেকে বেশি অবৈধ শিক্ষাকর্মী (গ্রুপ-ডি) নিযুক্ত হয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। ৩৬০ জন শিক্ষাকর্মী আছেন এই জেলায়। পশ্চিম মেদিনীপুরে আছেন ২৯৮ জন শিক্ষাকর্মী। নারায়ণগড়, ডেবরা, সবং, গড়বেতা থেকে শুরু করে শালবনী, মেদিনীপুর, খড়্গপুর সমস্ত ব্লকেই আছেন এই শিক্ষাকর্মীরা। এছাড়াও, বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, কলকাতা, দুই চব্বিশ পরগণা, মুর্শিদাবাদ, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার প্রভৃতি সব জেলাতেই এই ধরনের অবৈধ শিক্ষাকর্মীরা ২০১৮ সাল থেকে চাকরি করছেন বলে জানা গেছে। নতুন বছরেই যাদের চাকরি বাতিল হতে চলেছে বলে আদালত সূত্রে খবর। সোমবার এই বিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডি.আই চাপেশ্বর সর্দারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, “আজ (সোমবার) ছুটির দিন। আগামীকাল (মঙ্গলবার) অফিসে গিয়ে নির্দেশিকা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৭ এপ্রিল: "আমরা এখনও ধোঁয়াশার মধ্যে আছি। ওঁরা তো…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৭ এপ্রিল: গত ৫ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ এপ্রিল: বছরভর নানা রূপে দেখা যায় পুলিশকে। কখনও…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ এপ্রিল: "তাকিয়ে আছি সুপ্রিম কোর্টের ১৭ এপ্রিলের শুনানির…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৩ এপ্রিল: একসঙ্গে দু-দুটি বিরল রোগ! দু-তিন বছর আগে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১২ এপ্রিল: দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর প্রাথমিকে প্রধান…