দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ৫ মে:অবশেষে আন্দোলন আর মামলার জয় হল! একদিকে, গান্ধী মূর্তির পাদদেশে প্রায় ২ বছরের অনশন-অবস্থান; অন্যদিকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সহ কলকাতা হাইকোর্টের সাঁড়াশি আক্রমণ- সবমিলিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের ওয়েটিং লিস্টে থাকা শিক্ষক পদপ্রার্থী এবং গ্রুপ সি-ডি’র মেধাতালিকায় থাকা বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ৫২৬১-টি অতিরিক্ত পদের সৃষ্টি করতে বাধ্য হল স্কুল সার্ভিস কমিশন। দ্রুত এই ধরনের মেধাতালিকায় থাকা শিক্ষক ও অশিক্ষক চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করা হবে বলে বৃহস্পতিবার দুপুরে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ১৬০০ (৮৫০ ও ৭৫০)-টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে অতিরিক্ত এই পদ সৃষ্টি করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, নতুন করে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়াও শুরু করতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। হবে, প্রধান শিক্ষক নিয়োগও। তবে, সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম-দ্বাদশ এবং গ্রুপ সি-ডি’র শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে নজিরবিহীন দুর্নীতি হয়েছিল, তাতেই আদালতের কাছে বারবার মুখ থুবড়ে পড়তে হচ্ছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং শিক্ষা দপ্তরকে। অন্যদিকে, যোগ্য ও বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা দীর্ঘ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সবমিলিয়ে, চাকরিপ্রার্থীদের কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হল রাজ্য সরকার! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উদ্যোগ নিয়ে, যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষা দপ্তর তথা স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। এদিকে, সরকারের এই ঘোষণার ফলে, অযোগ্য যে সকল প্রার্থীরা ইতিমধ্যে চাকরি পেয়ে বসে আছেন, তাদের বিষয়টি কি শেষ পর্যন্ত ধামাচাপাই পড়ে যাবে? এই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে।