দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ৬ ডিসেম্বর: ১৮৩’র পর আরও ৪০! মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যেই নবম-দশমের এই ৪০ জন ‘ভুয়ো শিক্ষক’-এর OMR সহ নামের তালিকা প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। আজ (৬ ডিসেম্বর) এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে সিবিআই (CBI) তথ্য দেয়, গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া ওএমআর শিট (OMR Sheet)- এ দেখা যাচ্ছে ১০ জন পরীক্ষার্থী শূন্য পেয়েছেন পরীক্ষায়। কিন্তু, তাঁদের কমিশনের সার্ভারে নম্বর দেওয়া হয়েছে ৫৩। বাকিরা যাঁরা ১ বা ২ নম্বর পেয়েছেন, তাঁদের কারও নম্বর ৫১, কারও ৫২। তালিকার ওয়েটিং লিস্টে থাকা এমন ২০ জন প্রার্থীর ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, ৯ নম্বর বেড়ে ৪৯ হয়েছে। মোট ৪০ জনের মধ্যে ২০ জন শিক্ষকতা করছেন এবং ২০ জন ওয়েটিং তালিকাভুক্ত বলেও জানা গেছে। ৪০ জনের মধ্যে রয়েছেন ২১জন বাংলা, ১০ জন ইতিহাস, ৩ জন জীবন বিজ্ঞান, ৪ জন ইংরাজি এবং ভৌতবিজ্ঞান ও ভূগোল বিষয়ের ১ জন করে প্রার্থী রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে এও উল্লেখ্য যে, সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু’র বেঞ্চে সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়েছিল গাজিয়াবাদের সার্ভার থেকে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার বেশ কিছু উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট (OMR Sheet) উদ্ধার হয়েছে। ওই উত্তরপত্রগুলি যাচাই করে দেখা গিয়েছে, সেখানে এমন অনেকে আছেন যাঁরা ওএমআর শিটে মাত্র একটি বা দু’টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। কিন্তু, নম্বর পেয়েছেন ৫০-এর বেশি! কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এ-ও দাবি করে, এসএসসি-র ওই হার্ড ডিস্ক তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেবে। যার প্রেক্ষিতে এসএসসি-র উদ্দেশে গতকাল বিচারপতি বসু মন্তব্য করেছিলেন, “জল থেকে কাদা সরিয়ে জলটাকে স্বচ্ছ করুন।” অন্যদিকে, এর আগে নবম-দশমে ১৮৩ জনের চাকরি বাতিল করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। মঙ্গলবার সিবিআই-এর উদ্ধার করা ৪০-টি ভুয়ো ওএমআর (OMR) সংক্রান্ত মামালাটি ওঠে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। গত শুক্রবার তাঁর নির্দেশেই এনিয়ে মামালাকারী, সিবিআই ও কমিশনের আইনজীবীরা বৈঠক করেছিলেন। সেখান কমিশন বিষয়টি মেনে নেয়। যদিও, স্কুল সার্ভিস কমিশন অরিজিনাল ওএমআর নষ্ট করে দিয়েছে বলে জানায়। এ নিয়ে মঙ্গলবার চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর পর্যবেক্ষণ, “এটা কোন ভুতের কাজ নয়, কমিশনের অফিসে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরাই এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত।” এরপরই, তিনি নির্দেশ দেন, মঙ্গলবারের মধ্যেই স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ৪০ জনের নমুনা ওএমআর-এর নাম, রোল নম্বর সহ বিস্তারিত প্রকাশ করতে হবে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। তবে, তাঁরা চাইলে মামলা লড়তে পারেন। সে জন্যও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। মামলার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বিচারপতি জানান, লিখিত আকারে নিজেদের বক্তব্য জানাতে পারবেন ৪০ জন। প্রয়োজনে তাঁদেরও সংশ্লিষ্ট মামলায় যুক্ত করা হবে।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: দোকান বন্ধ করে রাতেই বেরিয়েছিলেন বাইক নিয়ে।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…