দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ১৩ অক্টোবর: সিবিআই- এর হিসেবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিযুক্ত শিক্ষক (নবম-দ্বাদশ) এবং শিক্ষাকর্মী (গ্রুপ সি ও ডি)- দের মধ্যে ৮ হাজারেরও বেশি ‘ভুয়ো’! অবৈধ বা বেআইনিভাবে তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এই ধরনের ‘ভুয়ো’ বা ‘অবৈধ’ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের তালিকা তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সিবিআই (CBI)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে ইতিমধ্যে (পুজোর আগেই) সিবিআই-এর আইনজীবী এই তথ্য তুলে ধরেছেন এবং জানিয়েছেন এই সংখ্যা আরও বাড়বে বৈ কমবে না! সিবিআই-এর হিসেবে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশে নিযুক্ত অবৈধ শিক্ষকের সংখ্যা যথাক্রমে- ৯৫২ ও ৯০৭। অপরদিকে, স্কুল সার্ভিস কমিশন এখনও অবধি নবম-দশমের ১৮৩ জন বেআইনিভাবে নিযুক্ত (শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু’র মন্তব্য অনুযায়ী, ‘ব্যতিক্রমী’ শিক্ষক) শিক্ষককে চিহ্নিত করতে পেরেছে। ইতিমধ্যে তাঁদের তালিকা তৈরি করে হাইকোর্টে হলফনামা আকারে জমা দেওয়া হয়েছে বলেও স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে জানা গেছে। চেয়ারম্যান অধ্যাপক সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছেন, “বিষয়টি বিচারাধীন। আদালতে যা জানানোর জানানো হয়েছে।” তবে, তিনি স্বীকার করেছেন, ১৮৩ জনকে চিহ্নিত করে তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ২০ জন শিক্ষককে ইতিমধ্যে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়েছে। এই ২০ জনের মধ্যে অধিকাংশই মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে যে ১৮৩ জন অবৈধ শিক্ষকের তালিকা তৈরি করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে সর্বাধিক ৩৭ জনই হল মুর্শিদাবাদ জেলার শিক্ষক। এছাড়াও, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ২৯ জন এবং মালদা জেলার ২৫ জন আছেন এই তালিকায়। অপরদিকে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ১০ জন এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মাত্র ৩ জন আছেন এই ১৮৩ জনের তালিকায়। তালিকায় থাকা পশ্চিম মেদিনীপুরের এক শিক্ষকের সঙ্গে বেঙ্গল পোস্টের তরফে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, লকডাউনের সময়কালে তাঁর হাতে নিয়োগপত্র এসে পৌঁছেছিল। তবে, তিনি জয়েন (যোগদান) করতে পারেননি! নির্ধারিত স্কুলের তরফে সেই সময় তাঁকে জয়েন করানো হয়নি। পরবর্তী সময়েও তিনি যোগদান করতে পারেননি! স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যাচ্ছে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের এই ১৮৩ জনের তালিকায় থাকা অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকাই আসলে এখনও পর্যন্ত চাকরিতে যোগদানই করেননি! ঘুরপথে বা টাকার বিনিময়েই হয়তো তাঁদের ‘ভুয়ো নিয়োগপত্র’ তৈরি করা হয়েছিল শুধুমাত্র। পরে, আদালতের একের পর এক নির্দেশে থমকে যায় সবকিছু! এক্ষেত্রে এও প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ইতিমধ্যে নিয়োগ হয়ে যাওয়া বেশিরভাগ ‘ভুয়ো’ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুল সার্ভিস কমিশন এখনও চিহ্নিতই করেনি বা তাঁদের তালিকা তৈরি করে উঠতে পারেনি? কারণ, সিবিআই এর হিসেবে সেই ধরনের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংখ্যাটা অন্তত ৯৫২! ১৮৩ নয়। আর, যে ২০ জন শিক্ষককে স্কুল সার্ভিস কমিশন ইতিমধ্যে ছেঁটে ফেলেছে, তাঁদের নাম বিভিন্ন মামালার জেরে প্রকাশ্যে চলে এসেছিল! তা স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকেও স্বীকার করা হয়েছে। কাজেই, আদালতের চোখকে ফাঁকি দিতে মাত্র ১৮৩ জনের তালিকা স্কুল সার্ভিস কমিশন তৈরি করলেও, নবম-দ্বাদশ মিলিয়ে এখনও যে তাদেরকে (কমিশনকে) প্রায় ১৭০০-১৮০০ জন ভুয়ো শিক্ষকের তালিকা তৈরি করতে হবে, তা বলাই বাহুল্য! (ছবি- প্রতীকী ও সংগৃহীত)
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…