দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ৫ ডিসেম্বর: গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি’র পর এবার বেআব্রু হয়ে গেল স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াও। দুর্নীতির অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন নবম থেকে দ্বাদশের (SLST) ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি ছিল, পিছনে র্যাঙ্ক থাকা কিংবা মেধাতালিকাতেই না থাকা প্রার্থীরা চাকরি পেয়ে গেছে, আর যোগ্য হয়েও তাঁদের ওয়েটিং লিস্টে রাখা হয়েছে! আন্দোলনের সাথে সাথে কলকাতা হাইকোর্টেও মামলা দায়ের করেছেন এই ধরনের চাকরি প্রার্থীরা। ইতিমধ্যে, আদালতের নির্দেশে চাকরি পেয়েছেন অনেকেই। এবার, সেই আদালতের নির্দেশেই চাকরি খোয়ালেন ‘অযোগ্য’ এক চাকরিপ্রার্থী! অভিযোগ ছিল, পেছনের সারিতে থেকেও অর্থাৎ পেছনে Rank থাকলেও, তিনি চাকরি পেয়ে গিয়েছিলেন! তাঁকে নিয়োগপত্র দিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। এবার, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার কড়া নির্দেশে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করল সেই স্কুল সার্ভিস কমিশনই। তিনি গত এক বছর ধরে মুর্শিদাবাদের সাগরদীঘির একটি স্কুলে গণিতের শিক্ষক হিসেবে চাকরি করছিলেন বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে, কয়েকশো চাকরিপ্রার্থীর বেতন বন্ধ করার নির্দেশ আগেই দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবার, আরো কড়া পদক্ষেপ নিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। উল্লেখ্য যে, গত সপ্তাহে শুনানির দিন ভুল স্বীকার করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিন্তু, বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়েছিলেন, শুধু ভুল স্বীকার করলেই হবে না, আইন অনুযায়ী কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সেই নির্দেশের পরই, ভুল সংশোধন করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। চাকরির এক বছরের মধ্যে ওই ‘শিক্ষক’ (মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি সাহাপুর সান্তাল হাইস্কুলে কর্মরত ছিলেন, গত ২০২০ সালে তিনি ওই স্কুলে শিক্ষক পদে যোগ দিয়েছিলেন)’ কে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হল! স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইন মেনেই এই কাজ করা হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে। আর বিচারপতির এই ধরনের পদক্ষেপের ফলে, আশার আলো দেখছেন আন্দোলনকারী নবম থেকে দ্বাদশের শিক্ষক পদপ্রার্থীর। অভিযোগ যে, অনেকেই লবি খাটিয়ে কিংবা নিয়মবিরুদ্ধ ভাবে চাকরি জুটিয়ে নিয়েছেন। এই ধরনের রায়ের ফলে এবার আতঙ্কে ওই শিক্ষক-শিক্ষিকারাও!