দ্য বেঙ্গল পোস্ট বিশেষ প্রতিবেদন, কলকাতা, ১০ ডিসেম্বর: টানা ২৭০ দিন। ৯ মাস। কলকাতার রাজপথে অনশনে বসে আছেন নবম থেকে দ্বাদশে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মেধাতালিকায় (মেরিট লিস্টে) থাকা চাকরিপ্রার্থীরা। মেরিট লিস্ট অনুযায়ী ওয়েটিং তালিকাভুক্ত হলেও, তাঁদের দাবি, তাঁদের থেকে পেছনে র্যাঙ্ক থাকা সত্ত্বেও একাধিক চাকরিপ্রার্থী আজ শিক্ষক হয়ে গেছেন। এই ধরনের দুর্নীতির ভুরি ভুরি অভিযোগের অকাট্য প্রমাণ নিয়ে রাজ্য রাজধানীর রাজপথে টানা ৯ মাস ধরে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম থেকে দ্বাদশের ওয়েটিং মেধা তালিকায় থাকা চাকরিপ্রার্থীরা। এর মাঝে অনেকেই শরণাপন্ন হয়েছেন আদালতের। আদালতের রায়ে কিছুজন চাকরি পেয়েছেন। সম্প্রতি, চাকরিপ্রার্থীদের দুর্নীতির অভিযোগকে স্বীকৃতি দিয়ে, কলকাতা হাইকোর্ট মুর্শিদাবাদের সাগরদীঘির একটি স্কুলের গণিতের এক শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশও দিয়েছে। সেই দাবি মেনেও নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তবে, এখনও নম্বর সহ পূর্ণাঙ্গ মেধাতালিকা প্রকাশ করেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিংবা, দুর্নীতির অভিযোগ পুরোপুরি স্বীকারও করেনি। সর্বোপরি, ২০১৯ এ দেওয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতিও পালন করেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন তথা রাজ্য সরকার। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ২০১৯ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনশনরত পড়ুয়াদের আশ্বাস দিয়েছিলেন, মেধা তালিকায় থাকা প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীর অভাব-অভিযোগ শুনে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শূন্যপদ অনুযায়ী প্রত্যেকের চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই প্রতিশ্রুতি আজও পালন করা হয়নি বলে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন নবম থেকে দ্বাদশের শতাধিক চাকরিপ্রার্থী। উল্লেখ্য যে, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির পর সামান্য কিছু শূন্য পদ পূরণ করা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেই শূন্য পদে র্যাঙ্ক অনুযায়ী নিয়োগ না করে, দুর্নীতি করা হয়েছে বলেই দাবি চাকরিপ্রার্থীদের।
বঞ্চিত মেধাতালিকাভুক্ত আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে সুখেন সরকার, প্রথমা মিত্র, আবু নাসের, সৈরুদ্দিন, মিঠুন বিশ্বাস, কুদরতি কবির, রেহেসান আলি, হাবিবুর রহমান, সাহেব সাউ, সুজিত শর্মা, অভিষেক সেন, রাকিব হোসেন, লক্ষী পাল, প্রত্যুষা মৈত্র, তৃষা সর্দার, সাহাজুদ্দিন মোল্লা প্রমুখরা জানিয়েছেন, “আজ স্কুলগুলো শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এদিকে মেধাতালিকাভুক্ত বঞ্চিত প্রার্থীরা রাস্তায় বসে আছে তাদের ন্যায্য অধিকারের দাবিতে। শীত, বৃষ্টি, ঝড়, মহামারীর প্রচণ্ডতাকে উপেক্ষা করে তাদের দিন কাটে রাস্তায়। ন্যায্য চাকরির দাবিতে ছোট ছোট শিশু সন্তানদের নিয়ে অনশন মঞ্চেই রাত কাটে মেয়েদের।” তাঁদের প্রশ্ন, “যে স্কুল সার্ভিস কমিশন আজ আইন দেখাচ্ছে তারা কোন আইনে নিজেদের গেজেট’কে লঙ্ঘন করে নাম্বার প্রকাশ না করে মেধাতালিকা প্রকাশ করে? কোন আইনে নিজের গেজেটে উল্লেখিত ১:১.৪ নিয়ম না মেনে নিয়োগ করে? কোন আইনে মেধাতালিকায় পেছনের সারিতে থাকা প্রার্থীকে আগে নিয়োগ দেয়? কোন আইনে এস এম এসে অবৈধ নিয়োগ দেয় গেজেট কে লঙ্ঘন করে? কোন আইনে অকৃতকার্য প্রার্থীরা চাকরি পায় আর কোন আইনে মেধাতালিকাভুক্ত প্রথম দফায় ডাক পেয়েও বঞ্চনার শিকার হয়”? এমনই সব অকাট্য যুক্তি নিয়ে আজ (১০ ডিসেম্বর) ২৭০ দিন হল কলকাতার রাজপথে বসে আছেন হবু শিক্ষক-শিক্ষিকারা! মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তাঁদের কাতর আবেদন, “দয়া করে আপনি আপনার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করুন। আপনিতো দিল্লি হরিয়ানার অনশনরত কৃষকদের দাবির প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়ে আন্দোলন করেন! কিন্তু, আপনার সন্তানসম যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা প্রায় এক বছর হল, রাস্তায় বসে অনশন চালিয়ে যাচ্ছে, পুলিশ প্রশাসনের অত্যাচার সহ্য করছে, তাঁদের প্রতি এবার আপনার সহানুভূতি প্রদর্শন করুন দয়া করে।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ ডিসেম্বর: আমেরিকার অ্যারিজোনায় পাথুরে জমির মধ্যে বয়ে গিয়েছে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ ডিসেম্বর: কুয়াশার চাদরে ঢাকল শহর মেদিনীপুর! শনিবার সন্ধ্যার…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ ডিসেম্বর: "শুনে আনন্দিত হলাম বনশুয়োরের বাচ্চাটি শালবনী থেকে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ ডিসেম্বর: সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেন নি। বিকেলে পুকুর…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ ডিসেম্বর: গত ৫ ডিসেম্বর 'রেল শহর' খড়্গপুরের বোম্বে…
মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ ডিসেম্বর: প্রত্যন্ত জঙ্গলমহলেও নজরকাড়া জীববৈচিত্র্য উদ্যান বা বায়োডাইভার্সিটি পার্ক (Biodiversity…