দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ১৬ মে: কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে মঙ্গলবার (১৬ মে) দেশজুড়ে পঞ্চম পর্বের ‘রোজগার মেলা’ অনুষ্ঠিত হল দেশের ৪৫-টি স্থানে (কেন্দ্রে)। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আইআইটি খড়্গপুর (IIT Kharagpur)-ও ছিল এই ৪৫-টি ভেনু বা কেন্দ্রের তালিকায়। পঞ্চম পর্বের এই রোজগার মেলায় দেশজুড়ে ৭১ হাজারের বেশি যুবক-যুবতীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে তাঁদের নিয়োগ করা হল। ভার্চুয়ালি তাঁদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আইআইটি খড়্গপুরের (IIT Kharagpur) নেতাজী অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ‘রোজগার মেলা’ থেকে ২৬০ জন চাকরিপ্রার্থী বা কর্মপ্রার্থীর হাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের যুব কল্যাণ ও স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। তিনি বাংলার ২৫ জন যুবক-যুবতীর হাতে সরাসরি নিয়োগপত্র তুলে দেন।

thebengalpost.net
তুলে দেওয়া হল নিয়োগপত্র:

এদিন, আইআইটি খড়্গপুরের প্রেক্ষাগৃহ থেকে সবমিলিয়ে এদিন ২৬০ জন প্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। রেল, আইআইটি (IIT), এইমস (AIMS), ডাক বিভাগ বা পোস্ট অফিস সহ বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগপত্র পেলেন জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুর সহ বাংলার এই ছেলেমেয়েরা। এর মধ্যে, প্রায় ১০০’র কাছাকাছি শুধু ডাক বিভাগেই (Indian Postal Department) নিয়োগপত্র পেয়েছেন বলে জানা যায়। এদিনের অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বেও ছিল ডাক বিভাগ। এদিন আইআইটি খড়্গপুরের এই রোজগার মেলায় উপস্থিত ছিলেন, ডাক বিভাগের শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক সহ আইআইটি খড়্গপুরের অধিকর্তা ভি.কে তেওয়ারি, সহ অধিকর্তা অমিত পাত্র, নিবন্ধক (রেজিস্ট্রার) তমাল নাথ প্রমুখ। মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী রেলওয়ে, পোস্টাল সহ কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত দপ্তরের শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগী। এবার, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন বিভাগে (বা, দপ্তরে) ৭১,২০৬ জনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল দেশজুড়ে।” তিন এও জানান, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে বিভিন্ন রাজ্যও ইতিমধ্যে রোজগার মেলার আয়োজন করে শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগী হয়েছে।” ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “এ এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ! রোজগার মেলার মাধ্যমে সরাসরি দেশের লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে। দেশ থেকে বেকারত্বের অন্ধকার দূর করতেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।”