দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ মে: চাকরির হাহাকার! অস্থায়ী (Purely Temporary) এবং চুক্তিভিত্তিক (Contractual), ১০ হাজার টাকা বেতনের ‘বন সহায়ক’ (Bana Sahayak) চাকরির জন্যও তাই আবেদনপত্র জমা দিচ্ছেন স্নাতক, স্নাতকোত্তর পাস এবং বি.এড, ডি.এল.এড করা যুবক-যুবতীরাও। আজ, সোমবার (২২ মে) থেকে শুরু হল আবেদনপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া। আগামী ২৯ মে (সোমবার) পর্যন্ত চলবে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া। তবে, মাঝখানে রবিবার বা ছুটির দিনগুলি বাদ দিয়ে আবেদনপত্র জমা দেওয়া যাবে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চাকরিপ্রার্থীরা আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন শুধুমাত্র জেলা সদর মেদিনীপুরের পুলিশ লাইন এলাকায় অবস্থিত ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিস (DFO) বা বিভাগীয় বনাধিকারিকের কার্যালয়ে। আজ অর্থাৎ প্রথম দিনই বন সহায়কের ফর্ম বা আবেদনপত্র জমা দেওয়ার লম্বা লাইন চোখে পড়ল বিভাগীয় বনাধিকারিকের কার্যালয়ে।
চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, অষ্টম শ্রেণী বা এইট পাস যোগ্যতার চাকরি হলেও, যাঁরা আবেদন করেছেন; তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। সঙ্গে কেউ বি.এড আবার কেউ ডিএলএড প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এছাড়াও, অনেকেই আছেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার বা বি.টেক ইঞ্জিনিয়ার কিংবা এমবিএ ডিগ্রি অর্জনকারী চাকরিপ্রার্থীও। একনজরে দেখে নিন এই চাকরি সংক্রান্ত কয়েকটি বিষয়:
পদের নাম: বন সহায়ক (চুক্তি ভিত্তিক)
শূন্যপদ: ২০০০
শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাশ (নূন্যতম যোগ্যতা)
মাসিক বেতন/ভাতা: ১০ হাজার টাকা
বয়স: ২০২০ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে ১৮ থেকে ৪০ হতে হবে। সংরক্ষিত ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী বয়সে ছাড় পাওয়া যাবে।
আবেদনপত্র ডাউনলোডের ওয়েবসাইট: www.westbengalforest.gov.in
আবেদনের শেষ তারিখ: ২৯ মে (ছুটির দিন বাদ দিয়ে)
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৩ মে (২০২৩) বন সহায়ক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে করা একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, আগামী দু’ মাসের মধ্যে নিয়ম মেনে নতুন ভাবে ইন্টারভিউ করতে হবে। সেই তালিকা প্রকাশ করতে হবে ওয়েবসাইটে। যদিও, আগের চাকরি এখনই বাতিল করা হয়নি। আদালতের নির্দেশে, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার পর যে সকল যোগ্য কর্মীরা তালিকায় ঠাঁই পাবেন, তাঁদের চাকরি থাকবে। বাকিদের চাকরি বাতিল হতে পারে! স্বাভাবিকভাবেই, এবার ফ্রেস বা স্বচ্ছ ও যোগ্যতাসম্পন্ন চাকরিপ্রার্থীদের কাছে বড় সুযোগ রয়েছে। আর, সেজন্যই শত কষ্ট উপেক্ষা করেও দূরদূরান্ত থেকে এসে, লাইনে দাঁড়িয়ে ফর্ম বা আবেদনপত্র জমা করছেন তাঁরা।