দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৬ আগস্ট: ঠেলার নাম বাবাজি! দীর্ঘ আন্দোলন করেও কাজ হচ্ছিলো না। অবশেষে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে ২০১৪ প্রাইমারি টেট পাস নট ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা আরটিআই (RTI- Right to Information Act) মামলা করেন। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) ছিল তার শুনানি। ১৬ হাজার ৫০০ জনকে নিয়োগ দেওয়ার কথা বললেও, মামলাকারীদের আইনজীবী তথ্য দিয়ে তুলে ধরেন মাত্র ১০ হাজার মতো চাকরি দেওয়া হয়েছে, ৬০২৪-টা শূন্য পদ এখনও পড়ে আছে। মানতে নারাজ পর্ষদ! তাঁদের সাফাই, আর মাত্র ১১১৪-টি ভ্যাকেন্সি বা শূন্যপদ পড়ে আছে। তাতে পিটিশনার বা মামলাকারীদের চাকরি দেওয়ার প্রস্তাব দেয় পর্ষদ।

thebengalpost.net
প্রাথমিক নিয়োগে জটিলতা তৈরি করে অপসারিত হয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য, আজ ফের ইডি-সিবিআআ’এর মুখোমুখি হতে চলেছেন :

তবে, এতো সহজে যে এই মামলার ফায়সালা হওয়া সম্ভব নয়, তা বলাই বাহুল্য। কারণ, পিটিশনারদের মতে শূন্যপদ আরো অনেক বেশি আছে। তাছাড়া, নট ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থী আছেন প্রায় ৭-৮ হাজার। শুধুমাত্র পিটিশনারদের চাকরি দিলে যে জটিলতা বাড়বে তা বলাই বাহুল্য! কারণ, মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হওয়ার কথা। শেষ পর্যন্ত কি হবে, তা এখনও বোঝা মুশকিল! আরও অনেক নট ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থী ইতিমধ্যে মামলা করতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর। আজ, শুনানির পর থেকেই ঝাঁকে ঝাঁকে চাকরিপ্রার্থীরা আদালতে দৌড়াদৌড়ি শুরু করেছেন।‌ ফোন করেছেন আইনজীবীদের। এদিকে, এই মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য করা হয়েছে আগামী ২৩ আগস্ট, মঙ্গলবার। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদের আইনজীবী-কে লিখিত আকারে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ২২ আগস্টের মধ্যে। এদিকে, আজ, মঙ্গলবার দুপুর ২ টোর মধ্যে নিজাম প্যালেসে হাজিরা না দিলে, অপসারিত পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য’র বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে ইডি-সিবিআই। বিশ্বস্ত সূত্রে এমনটাই জানা গেছে।