দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, ৮ নভেম্বর: চলছে প্রাথমিকে ১১ হাজার (১১,৭৬৫) নিয়োগের অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া বা ফর্ম ফিলাপ। শেষ দিন ১৪ নভেম্বর (২০২২)। কিন্তু, হাজার হাজার টেট পাস (২০১৪ ও ২০১৭) চাকরিপ্রার্থী জানতেনই না নিজেদের নম্বর। নম্বর ছাড়া কিভাবে ফর্ম ফিলাপ? অনেকেই আছেন, দু’টি টেট-ই (২০১৪ TET এবং ২০১৭ TET) পাস করেছেন, কোনটির ভিত্তিতে ফর্ম ফিলাপ করবেন? এই সমস্ত প্রশ্ন তুলে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে মামলা করেন বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থী। গত ৩ নভেম্বর সেই মামলার (WPA 16845/2022) শুনানি শেষেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন অবিলম্বে টেট পাসদের প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশ করার জন্য। এরপরই, সোমবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ২০১৭ টেট পাস ৯৮৯৬ জনের নম্বর প্রকাশ করে (www.wbbpe.org) প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। দু’একদিনের মধ্যেই ২০১৪ টেট পাসদের নম্বর প্রকাশ করা হবে বলেও জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। তবে, ইতিমধ্যেই এই নম্বরের ‘বিশ্বাসযোগ্যতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন চাকরিপ্রার্থীরা! তাঁদের মতে, পর্ষদ আদালতে নিজেরাই জানিয়েছেন, টেটের অরিজিনাল ওএমআর (OMR) নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তবে, ওএমআর-এর ডিজিটাল সংস্করণ রাখা হয়েছে। ফলে, এই নকল বা ডিজিটাল নথির সত্যতা বা বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তুলছেন সিংহভাগ চাকরিপ্রার্থী।

thebengalpost.net
http://www.wbbpe.org:

চাকরিপ্রার্থী এবং তাঁদের আইনজীবীরা ইতিমধ্যে টেটের নম্বর ম্যানিপুলেশন বা দুর্নীতির প্রশ্ন তুলেছেন আদালতে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় OMR রহস্যের সমাধান করার দায়িত্ব দিয়েছেন সিবিআই (CBI)-কে। তবে, শ্লথ গতিতে চলা সেই তদন্ত কবে শেষ হবে, তা নিয়ে সন্দিহান খোদ আদালতই। যদিও, শেষ পর্যন্ত সিবিআই এর উপরেই আস্থা রেখেছেন বিচারপতি। এদিকে, ২০১৭ টেটে পাস করা চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে সিংহভাগ চাকরিপ্রার্থীই মাথায় মাথায় ৮৩ (সংরক্ষিতদের ক্ষেত্রে) এবং ৯০ (অসংরক্ষিত বা জেনারেল) পেয়ে পাস করেছেন বলে জানা গেছে। তবে, পর্ষদের নতুন আইন (২০১৬) অনুযায়ী চাকরির ক্ষেত্রে এই টেটের নম্বর খুব বেশি প্রভাব ফেলবেনা! করণ, মাত্র ৫ নম্বর নির্ধারিত আছে টেট থেকে। সেখানে ইন্টারভিউতে আছে ১০। অ্যাকাডেমিক, এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি প্রভৃতিতে আছে বাকি ৩৫। এসব নিয়েও নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে, ২০১৪ টেট পাসদের আরটিআই মামলার চূড়ান্ত ফলাফলের উপর নির্ভর করবে ৩৯২৯ টি শুন্যপদের ভবিষ্যত। সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গেছে পর্ষদ। যার শুনানি চলতি সপ্তাহে হওয়ার সম্ভবনা আছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

thebengalpost.net
বিজ্ঞাপন: