দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ২৩ ডিসেম্বর: শেষ পর্যন্ত অবৈধভাবে নিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি যাচ্ছেই! শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৫৩ জনের হলফনামা পড়ে তাঁর আগের নির্দেশ-ই বহাল রাখলেন! আরো ১ জনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে অনুপস্থিত থাকার জন্য। বাকি ২১৫ জন হলফনামা জমাই দেননি অর্থাৎ নিজেদের বৈধতার কোনো প্রমাণ দেননি! প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বেআইনিভাবে বা অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছিলেন, এই অভিযোগে ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি আগেই বাতিলের নির্দেশ আগেই দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ডিভিশন বেঞ্চ-ও সেই নির্দেশ বহাল রাখে। তবে, সুপ্রিম কোর্ট ওই ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের উপর ‘স্থগিতাদেশ’ দিয়ে জানিয়েছিল, আগে এই ২৬৯ জনের বক্তব্য শুনতে হবে কলকাতা হাইকোর্টকে। নিজেদের ‘বৈধতার’ প্রমাণ দিয়ে সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে জমা দিতে হবে হলফনামা। হলফনামায় ২৬৯ জনকে জানাতে হবে যে, তাঁরা ‘বৈধভাবে’ চাকরি পেয়েছেন।
সেই মতো, শুক্রবার ৫৪ জন হলফনামা জমা দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চে। তাঁদের মধ্যে ৫৩ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু, এক জন আসেননি। হাই কোর্ট হলফনামার বক্তব্য খতিয়ে দেখে ৫৩ জনের চাকরি পুনরায় বাতিলের নির্দেশ দেয়। যিনি অনুপস্থিত ছিলেন, তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, তিনি নতুন করে হলফনামা দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। জানা গেছে, ৫৩ জন টেট পাস-ই করতে পারেননি! তাঁদের নম্বরে কারচুপি করে অবৈধভাবে পরে (২০১৭ এর ডিসেম্বর মাসে) চাকরি দেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে, ২১৫ জন এখনও হলফনামা জমা না দেওয়ায়, মনে করা হচ্ছে তাঁদের কাছেও বৈধতার কোনো প্রমাণ নেই। তবে, সূত্রের খবর অনুযায়ী, ২৬৯ জনের মধ্যে ১ জন টেট পাস করেছিলেন। তিনি ছাড়া বাকি ২৬৮ জনেরই চাকরি বাতিল হবে বলে জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবীরা।
অন্যদিকে, শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় বহাল রেখে ১৫০০ জন দমকল অপারেটর নিয়োগের প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে। ২ মাসের মধ্যে নতুন করে প্যানেল তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য যে, দমকল অপারেটর পদের জন্য ১,৫০০ কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। ২০১৮ সালে লিখিত পরীক্ষা হয়। ২০২১ সালে নিয়োগের চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। পরে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। সংরক্ষণ নীতি সহ কোনো নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ করেন মামলাকারীরা। শুক্রবার বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আগের প্যানেল থেকে কোনও নিয়োগ করা যাবে না। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে নতুন প্যানেল প্রকাশ করতে হবে। আর তা করতে হবে ২ মাসের মধ্যে।