দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ১২ অক্টোবর: ২ বছরের ডি.এল.এড (D.El.Ed), ৪ বছরের বি.এল.এড (B.El.Ed), ২ বছরের আর.সি.আই অনুমোদিত ডি.এড (D.Ed) কিংবা বি.এড (B.Ed)- কোর্সে ভর্তি হলেই এবার থেকে প্রাইমারি টেট (Primary TET) পরীক্ষা দেওয়া যাবে। আজ, বুধবার (১২ অক্টোবর) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (WBBPE)। উল্লেখ্য যে, শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) থেকেই ‘প্রাইমারি টেট-২০২২’ অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে যাওয়ার কথা। এর আগে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর (২০২২) এর বিজ্ঞপ্তিতে পর্ষদ জানিয়েছিল, ১৪ অক্টোবর কিংবা তার পর থেকে অনলাইনে (www.wbbpe.org) প্রাইমারি টেট-২০২২ এর আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে। আজ ফের টেট পরীক্ষায় বসার যোগ্যতা মান সম্পর্কিত নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলো পর্ষদের তরফে। আর, এই সমস্ত যোগ্যতা মান বা টেট পরীক্ষার আইন-কানুন এনসিটিই (NCTE)’র বিধি মেনেই প্রকাশ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি ড. গৌতম পাল।

thebengalpost.net
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি:

অন্যদিকে, চলতি মাসের ২১ অক্টোবর থেকে ১১ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলেও পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছেন। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবে টেট ২০১৪ ও টেট ২০১৭-তে পাস করা এবং বি.এড বা ডি.এল.এড প্রশিক্ষিত প্রার্থীরা। পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছেন, ২০১৪ টেট পাস ‘নট ইনক্লুডেড’ (যাঁরা দু-দু’বার ইন্টারভিউ দিয়েও এখনও চাকরি পাননি) ১৬,১০১ জন চাকরির প্রার্থী এবং ২০১৭ টেট পাস ৯৮৯৬ জন চাকরিপ্রার্থী এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। তিনি সকলকেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে। তবে, এর তীব্র বিরোধিতা বা প্রতিবাদ করেছেন নট ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা। আন্দোলনকারী এই নট ইনক্লুডেড প্রার্থীরা জানিয়েছেন, “বর্তমান পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল-ও তাঁর পূর্বসূরী মানিক ভট্টাচার্যের মতো ২০১৪ টেট পাস, প্রশিক্ষিতদের সঙ্গে বঞ্চনা করছেন।” তাঁদের মতে, দু’দুবার ইন্টারভিউ দিয়েও, তাঁরা বঞ্চিত। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাঁদের সকলের চাকরি পাওয়ার কথা। যেখানে, সাদা খাতা জমা দিয়েও হাজার হাজার প্রার্থীরা শিক্ষক হয়েছেন, সেখানে উপযুক্ত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও, তাঁদের বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। পুনরায় নিয়োগের ‘গল্প’ শোনানো হচ্ছে! সর্বোপরি, নট ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদের সংখ্যা নিয়েও পর্ষদ সভাপতির সঙ্গে একমত নন ২০১৪ টেট পাস চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের মতে, নট ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদের সংখ্যা কোনোভাবেই ১৬ হাজার হতে পারেনা। যদি ১৩ হাজার টেট পাস’কে ২০২১ সালে নিয়োগ করা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে অবশিষ্ট টেট পাস, প্রশিক্ষিত প্রার্থী খুব বেশি হলে ৮-৯ হাজারের কাছাকাছি হবে। তাঁরা নিজেদের বক্তব্যের স্বপক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর ২০২০ সালের নভেম্বর মাসের সাংবাদিক বৈঠকের বক্তব্য তুলে ধরছেন, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন টেট পাস ও প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থী আছেন ২০-২১ হাজার! এরপর, ১২-১৩ হাজার (পর্ষদ সভাপতির মতে, ১৩,৫৬৪) নিয়োগ হলে, ৮-৯ হাজার নট ইনক্লুডেডই পড়ে থাকেন। এই ধরনের প্রার্থীরা তাই সরাসরি নিয়োগের দাবিতে গত ২ মাস ধরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।