thebengalpost.net
Kuntal Ghosh:

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ২১ জানুয়ারি: তাঁর বিরুদ্ধে ৩২৫ জন চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে প্রায় ১৯ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন মানিক-ঘনিষ্ঠ ডি.এল.এড কলেজের মালিক তাপস মণ্ডল। সেই তালিকায় শুধু প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীরা নয়, আছেন উচ্চ প্রাথমিক ও সংগঠক শিক্ষক পদপ্রার্থীরাও। এই অভিযোগের পরই আসরে নামে ইডি। টানা তল্লাশি চালানো হয় তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তল ঘোষের বাড়িতে। ইডি সূত্রে খবর, বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে শিক্ষা দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ অনেক নথি। প্রায় 24 ঘন্টা ধরে চলে তল্লাশি অভিযান। এরপরই, শনিবার সকালে তাঁকে চিনার পার্কের একটি আবাসন থেকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (Directorate of Enforcement)। দুর্নীতি তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ১৪ দিনের হেফাজতে চায় ইডি। ব্যাঙ্কশাল আদালত ৩ দিনের ইডি হেফাজত মঞ্জুর করেছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, কুন্তলের গ্রেফতারি বা এই দুর্নীতি কান্ডে জড়াচ্ছে মেদিনীপুরের নামও!

thebengalpost.net
Kuntal Ghosh:

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে তাপস দাবি করেছিলেন, চাকরির জন্য যাঁদের কাছ থেকে টাকা তোলা হত, তা তাঁর অফিসে আনা হত। সেই টাকা তাঁর ‘নির্দেশ’ মতোই পৌঁছে যেত হুগলির তৃণমূল যুবনেতা কুন্তলের কাছে। তবে কুন্তলের দাবি, “অফলাইনে ভর্তি নিয়ে আমি মুখ খুলব বলে কিছু দিন আগেও তাপস আমাকে একটাই কথা বলে এসেছে- আমার বাচ্চাকে কিডন্যাপ (অপহরণ) করবে।” এ ছাড়া, ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষের অভিযোগ প্রসঙ্গে কুন্তলের অভিযোগ, তাঁর কাছ থেকে তাপস ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষও চেয়েছিলেন। অন্যদিকে, তাপস দাবি করেছিলেন, চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলে তা কুন্তলকে দিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা গোপাল দাস। গোপাল তাঁর পরিচিত বলে জানান তাপস। তাকে কুন্তলের কাছে পাঠিয়েছিলেন তিনি। তাপসের কথায়, “গোপাল অনেকের থেকে টাকা তুলেছিল। তার মধ্যে আমার পড়ুয়ারাও ছিল। কুন্তলের ফ্ল্যাটেও গিয়েছিলাম। গত ৩-৪ মাস ধরে যাইনি।” শুধু গোপাল দাস নয়, কাঁথির তাপস মিশ্রও মিডলম্যান হিসেবে কাজ করতেন বলে জানা যায়। এই মুহূর্তে পলাতক তাপস মিশ্র’র বাড়ি কাঁথির ভন্ডুবসান গ্রামে। তাপস মিশ্র কাজ করতেন জেলবন্দি মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের অফিসেই। তিনিও বিভিন্নভাবে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ।