দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২২ অক্টোবর: “নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সবকিছুতেই এগোচ্ছে দেশ। প্রযুক্তিতে, বিজ্ঞানে, কৃষিতে। দেশের যুবকদেরও সেই অগ্রগতিতে অন্তর্ভুক্ত করার দরকার আছে। তাই, দেশের ১০ লক্ষ যুবকের হাতে সরকারি চাকরির নিয়োগ পত্র তুলে দেওয়া হবে। তার প্রথম পর্যায়ে আজ দেশজুড়ে ৭৫ হাজার নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল। পশ্চিমবঙ্গে তো সবকিছুই ভুয়ো। আমরা স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীকে ভুয়ো নিয়োগপত্র তুলে দিতে দেখেছি। এখানে, ডাক্তার-উকিল-শিক্ষক-পুলিশ সবকিছুই ভুয়ো। চাকরি দিতে পারবেন না! কিন্তু, যুবক যুবতীদের সঙ্গে তামাশা করবেন কেন?” খড়্গপুরে ২২২ জনের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার অনুষ্ঠান শেষে এভাবেই কেন্দ্র সরকারের জয়গান গাওয়ার সাথে সাথে রাজ্য সরকারকে তুলোধুনা করলেন মেদিনীপুরের সাংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে দেশজুড়ে ‘মিশন নিযুক্তি’ বা ‘রোজগার মেলা’র আয়োজন করা হয়েছে। রেল, আইআইটি, পোস্ট অফিস সহ কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যোগ্য হিসেবে বিবেচিত কর্মপ্রার্থীদের হাতে সরাসরি নিয়োগপত্র তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। খড়্গপুরে রেলের সুপারভাইজার ট্রেনিং স্কুলে এদিন উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। তবে, দুই সাংসদ দিলীপ ঘোষ এবং সুকান্ত মজুমদার-ও ছিলেন। এদিন অনুষ্ঠান শেষে, দিলীপ বললেন, “রাজ্য সরকারের দেখে শেখা উচিত। তাদের তো সবকিছুই ভুয়ো। মুখ্যমন্ত্রী নিজে ভুয়ো নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছেন!” টেট আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশি অত্যাচার সম্পর্কে তিনি বলেন, “এখানে চাকরি চাইতে গেলে পুলিশের মার খেতে হয়, জেলে যেতে হয়। আর, নরেন্দ্র মোদী সরকারের মন্ত্রীরা যুবকদের হাতে হাতে সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিচ্ছেন।”
অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বললেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টাটায় আগমন, আর টেটে গমন হবে- এটা আমরা নয়, নেটমাধ্যমে সবাই বলছে।” ডিসেম্বরে সরকার পড়ে যাওয়া সম্পর্কে সুকান্ত বলেন, “আমরা জোর করে সরকার ফেলে দেওয়ার বিপক্ষে। তবে, পরিস্থিতি যা, তাতে মানুষ-ই এই সরকারকে উপড়ে ফেলে দেবে। মানিক ভট্টাচার্যকে জামিন না দেওয়ার কারণ হিসেবে আদালতে ইডি যা বলছে, তাতে বোঝাই যাচ্ছে, একে একে তৃণমূলের সব নেতাকেই জেলে যেতে হবে। তাতে আর সরকারটা থাকবে, কিভাবে?” সায়গল সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমরা তো তৃণমূলের নেতাদের বলছি সবাই দিল্লিতে আসুন। কিন্তু, অনেকেই আসতে চাইছেন না ভয়ে! তবে, এটা নিশ্চিত সায়গলের সাইকেল চললেই তৃণমূলের অনেক নেতাকেই দিল্লিতে আসতে হবে।” অন্যদিকে, কুচবিহারের উদয়ন গুহ- দের ‘দাঁত উপড়ে’ নেওয়ার হুমকি প্রসঙ্গে দিলীপ, সুকান্ত একযোগে মন্তব্য করেন, “তৃণমূলের ওসব ছিঁচকে নেতা অনেক আছে! সবার অবস্থাই কেষ্টর মতো হবে।”