দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ২১ জানুয়ারি: ২০১৭ এর প্রাইমারি টেট পরীক্ষার্থীদের জন্য নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তাতে জানানো হয়েছে, আগামী তিনমাসের মধ্যে যদি কোন পরীক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এর কাছে তাঁদের OMR সিট বা উত্তরপত্র দেখতে চেয়ে আবেদন জানায়, তবে তা দেখানো হবে। কিন্তু, সেজন্য ‘West Bengal Board of Primary Education’ এর নামে ৫০০ টাকা ডিমান্ড ড্রাফ্ট বা ব্যাঙ্ক ড্রাফ্ট কাটতে হবে কোনো রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে। এছাড়াও, আবেদন পত্রের সঙ্গে নিজেদের টেট এডমিট কার্ডের জেরক্স সংযুক্ত করে দিতে হবে। এরপর, পর্ষদের সভাপতিকে (Secretary)-কে উদ্ধৃত করে আবেদন বা RTI (10 টাকার স্ট্যাম্প পেপার চিটিয়ে) করতে হবে। তবে, এই আবেদন অবশ্যই আগামী ১৯ এপ্রিল (২০২২) এর মধ্যে ‘SPEED POST’ করতে হবে। তারপর, আর কোন আবেদন অগ্রাহ্য করা হবে না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১০ জানুয়ারি প্রাইমারি টেট-২০১৭ এর রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে। ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫১৪ জন বৈধ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন মাত্র ৯৮৯৬ জন। পাস/ফেল জানতে পারলেও, পরীক্ষার্থীরা কত নাম্বার পেয়েছেন (১৫০ এর মধ্যে), তা জানতে পারেননি। সেজন্যই পর্ষদ এই উদ্যোগ নিয়েছে। অন্যদিকে, ২০১৪ টেটের যে ১৬ হাজার ৫০০ নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে, তাতে আর ৭৩৮ জনের নিয়োগ বাকি আছে। সেই নিয়োগে অগ্রাধিকার চেয়ে রাজ্যের টেট পাস ও ডি.এল.এড ( D.El.Ed ) প্রশিক্ষিতরা কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু, সেই বৃহস্পতিবার আবেদন খারিজ করে, পরবর্তী শুনানির তারিখ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সেই শুনানিতে পরবর্তী নিয়োগে d.el.ed দের অগ্রাধিকার দেওয়া যায় কিনা তার সওয়াল-জবাব হলেও, চলতি নিয়োগে কোনোভাবেই d.el.ed দেরকে অগ্রাধিকার দেয়া সম্ভব নয় বলে তিনি জানিয়েছেন। কারণ, NCTE’র নিয়ম মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ইতিমধ্যে, কয়েক হাজার B.Ed পরীক্ষার্থী চাকরিও পেয়ে গেছেন। কাজেই, এই ৭৩৮ জনের নিয়োগের ক্ষেত্রেও ডিএলএড এবং বি.এড, দুটিরই সমান গুরুত্ব বলে বিচারপতি জানিয়েছেন।
