দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ২৬ জুলাই: প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, নবম-দ্বাদশ এবং গ্রুপ সি-ডি, ২০১২ সাল থেকে হওয়া সমস্ত শিক্ষক ও অশিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। চাকরির প্রার্থীদের সেই অভিযোগ ক্রমেই প্রমাণিত হওয়ার পথে। সমস্ত নিয়োগে ‘দুর্নীতির ব্লু প্রিন্ট’ ধীরে ধীরে ইডি আর সিবিআই-এর হাতে পৌঁছচ্ছে। আর, পৌঁছে যাচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টেও। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে পাওয়া ১৭ ধরনের দুর্নীতির কাগজপত্র (সিজার লিস্ট) এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে পাওয়া ‘কালো ডায়েরি’ থেকে রহস্যের উদঘাটন করতে চলেছে ইডি-সিবিআই! প্রায় নিশ্চিতভাবে বলা যায়, আগামী তিন মাসের মধ্যে অবৈধভাবে নিয়োগ হওয়া হাজার হাজার (অন্তত ২০-৩০ হাজার) শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীদের চাকরি যেতে চলেছে। আর, বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের দুঃখ কষ্টের অবসান-ও হয়ত ঘটতে চলেছে। কারণ, এই দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের নজরদারিতে। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব থেকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বা বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ দ্রুত এই দুর্নীতির সুবিচার করবে বলে আশাবাদী চাকরি প্রার্থীরা।
অন্যদিকে, স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-ও আর অপেক্ষা করতে চাইছেন না! তিনি হুমকির সুরে বলেছেন, “তিন মাসের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হোক। দোষী হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হোক!” কলকাতা হাইকোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য থেকে সুদীপ্ত দাশগুপ্ত, বিক্রম ব্যানার্জি, ফিরদৌস শামিম-রাও বলছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সবকিছু জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে। জেলে যাবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ দুর্নীতিগ্রস্ত, সচিব, আধিকারিকরা! তবে, তাঁরা অবশ্য এও জানিয়েছেন, “সমস্ত দুর্নীতি হয়েছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর অঙ্গুলি হেলনে!” এদিকে, ইডি সূত্রে জানা গেছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে-
১. ২০১২ প্রাথমিক টেটের (নিয়োগ ২০১৪’র জানুয়ারিতে) সংশোধিত ফলাফলের কপি এবং সম্ভাব্য শিক্ষকদের তালিকা। পাওয়া গেছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির দেওয়া একটি নোট-ও।
২. পাওয়া গেছে নিয়োগ পত্রের সুপারিশের জেরক্স কপি।
৩. অজস্র আডমিট কার্ড।
৪. উচ্চ প্রাথমিকের ৪৮-টি অ্যাডমিট কার্ড।
৫. স্কুল সার্ভিস কমিশনের শীর্ষকর্তাদের নিয়োগ সংক্রান্ত নথি।
৬. সম্ভাব্য পোস্টিং এর তালিকা।
৭. শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত প্রচুর নথি।
৮. বিধায়ক সহ জনপ্রতিনিধিদের পাঠানো সুপারিশ পত্র প্রভৃতি ১৭ রকমের দুর্নীতি-সংক্রান্ত কাগজপত্র।
অন্যদিকে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ‘কালো ডায়েরি’ থেকে দুর্নীতির সমস্ত ব্লু-প্রিন্ট’ই উদ্ধার হবে বলে মনে করছেন ইডি আধিকারিকরা। ইতিমধ্যে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় জেরায় জানিয়ে দিয়েছেন, দালালরা টাকা তুলে আধিকারিকদের মাধ্যমে তাঁর কাছে পৌঁছে দিত। তাঁর বাড়িতেই সব কিছু অবৈধ কাজকর্ম হত। তারপর, খামে ভরে, বাক্স বন্দী টাকা পৌঁছে যেত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। সেখান থেকে তা পৌঁছে যেত বিভিন্ন আমলা, মন্ত্রী সহ উপমহলে। অন্যদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বসেই নিয়োগের তালিকা তৈরি করে তা স্কুল সার্ভিস কমিশনের দপ্তরে পাঠিয়ে দেয়া হতো। কার নম্বর কত বাড়াতে হবে, কোন ফেল করা ক্যান্ডিডেটকে পাস করাতে হবে, কিভাবে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে, সেসব ঠিক করে দেওয়া হত। তারপর আবার স্কুল সার্ভিস কমিশন সব সেইমতো কাজ করে, তা যাচাইয়ের জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে পাঠিয়ে দিতেন। এই ‘নাকতলা’র বাড়িই যে শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের নিয়োগ-দুর্নীতির ‘আঁতুড়ঘর’ তা প্রায় প্রমাণিত হওয়ার পথে। ইতিমধ্যে, একটি চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় স্বীকার করেছেন, “আমাকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্বয়ং বলেছেন, শিক্ষা দফতর চলবে নাকতলা থেকে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট থেকে নয়।” প্রাক্তন এসএসসি চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার বারবার বলেছেন, “আমি ক্যাটারিংয়ের মালিক। বিয়ে বাড়ির কর্তা যেমন বলবেন, আমি তেমন ভাবেই খাসি কাটবো!” বোঝাই যাচ্ছে, বিয়ে বাড়ির সেই কর্তা হলেন, চরম দুর্নীতিগ্রস্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর, তিনিই এখন ইডি হেফাজতে। সমস্ত প্রমাণাদি ইডি’র হাতে। তাই, বলা যেতেই পারে সবকিছু ফায়সালা হওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র!
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, মেদিনীপুর, ১৮ অক্টোবর: কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোতেও আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ!…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৭ অক্টোবর: মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৭ অক্টোবর: টিউশন পড়া শেষ করে নিজের সাইকেল নিয়ে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, ১৫ অক্টোবর: মেদিনীপুর সহ রাজ্যের ৬টি এবং দেশের ৪৮টি বিধানসভায় উপ-নির্বাচন…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, ১৫ অক্টোবর: মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ অক্টোবর: নারীশক্তির জয়গানের মধ্য দিয়েই মাতৃশক্তির বন্দনা, দেবী…