দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ২৮ সেপ্টেম্বর: অবশেষে SSC দুর্নীতি কাণ্ডের রহস্য উন্মোচনের পথে সিবিআই (Central Bureau of Investigation)। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে শুনানি চলাকালীন সিবিআই-এর আইনজীবী স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম থেকে দ্বাদশ এবং গ্রুপ সি ও ডি নিয়োগে হওয়া বেনজির দুর্নীতির নমুনা তুলে ধরেন। আর, সেই নমুনা দেখে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কার্যত স্তম্ভিত হয়ে যান! তিনি বলেন, “আই এম শকড!” (I am Shocked!) দেখা যায়, একাদশ দ্বাদশে অন্তত এক হাজার (এখনও অবধি পাওয়া গেছে ৯০৭) প্রার্থীর ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছে। ৩-৪ নম্বর পাওয়াদের নম্বর বাড়িয়ে ৫৩ করা হয়েছে! ফাঁকা বা সাদা ওএমআর (OMR) জমা দেওয়াদের-ও নম্বর বাড়িয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে সিবিআই’এর অভিযোগ। নবম-দশমে আরও বেশি দুর্নীতি হয়েছে বলে সিবিআই জানিয়েছে। নবম-দশম শ্রেণির ক্ষেত্রে ৯৫২ জনের নম্বর বদলানোর এখনও পর্যন্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে সিবিআই জানিয়েছে। সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলেই তাঁদের ধারণা!
উল্লেখ্য যে, এসএসসি দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে সমস্ত অরিজিনাল OMR এবং হার্ড ডিস্ক ‘সার্ভার রুম’ থেকে উদ্ধার করেছে সিবিআই। অরিজিনাল ডেটা সহ অন্তত তিনটি হার্ড ডিস্ক উদ্ধার করা হয়েছে বলে সিবিআই এদিন আদালতে জানিয়েছে। আর, তাতেই এই নজিরবিহীন দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে বলে সিবিআই-এর আইনজীবী জানিয়েছেন। অন্যদিকে, গ্রুপ সি ও ডি মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার-৭০০০ হাজার জনের ওএমআর কারচুপি (OMR Manipulation) এখনও পর্যন্ত ধরা পড়েছে বলে সিবিআই এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে জানিয়েছে। গ্রুপ সি-তে ৩,৪৮১ জনের এবং গ্রুপ ডি-তে ২,৮২৩ জনের নম্বর বদল করা হয়েছে বলে সিবিআই জানতে পেরেছে। এরপরই, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর নির্দেশে জানিয়েছেন, “আমি এটা পরিষ্কার করে দিতে চাই যে, এই সমস্ত বেআইনি প্রার্থীরা তাঁদের চাকরি হারাবেন। যদি তাঁরা নিজে থেকে পদত্যাগ করেন তো ভালো, আদালত তাহলে কোনও পদক্ষেপ করবে না। কিন্তু যদি তাঁরা তা না করেন, তাহলে আদালত অন্যভাবে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। এই সকল প্রার্থীরা পদত্যাগ না করলে, পরবর্তীতে তাঁরা যেন আর কোনও সরকারি চাকরির পরীক্ষায় না বসতে পারেন, আমি সেই নির্দেশ দেব। পদত্যাগ না করলে তাঁরা কেউ অন্য সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন না। পদত্যাগ করলে বুঝব যে তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, নিজেরা কী করেছেন! নাহলে কড়া পদক্ষেপ।”
এ প্রসঙ্গে জনৈক সঞ্জয় মণ্ডলের নামোল্লেখ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “একজন সঞ্জয় মন্ডল। জানি না কোথায় কাজ করছেন। তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।” আগামী ৯ নভেম্বরের মধ্যে এই সমস্ত ভুয়ো শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরা নিজে থেকে ইস্তফা দিতে পারেন। নাহলে কোর্টের নির্দেশে তাঁরা বাদ পড়লে, আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি বিচারপতির! একইসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, সিবিআইয়ের সাহায্য নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ভুয়ো শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের তালিকা তৈরি করতে হবে। এদিনের নির্দেশ ওয়েবসাইট এবং জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করার কথাও উল্লেখ করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…