দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ১০ ফেব্রুয়ারি: এ যাবৎকালের অন্যতম এক ঐতিহাসিক রায় শোনালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রাজ্য জুড়ে জেলায় জেলায় বিভিন্ন হাই স্কুলে (জুনিয়র হাই স্কুল সহ) ‘স্কুল সার্ভিস কমিশন’ (School Service Commission) এর মাধ্যমে যে ১৯১১ জন ‘ভুয়ো’ (Fake/Illegal) গ্রুপ ডি (Group D/ চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী) কর্মী নিযুক্ত হয়েছিলেন তাঁদের সকলের চাকরি আজ থেকে বাতিল হয়ে গেল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে। ইতিমধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশন বিজ্ঞপ্তি আকারে তা জানিয়ে দিয়েছে নিজেদের ওয়েবসাইটে (www.westbengalssc.com)। ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ১৯১১ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীর নাম, রোল নম্বর সহ বিস্তারিত তথ্য। শুধু চাকরি বাতিল-ই নয়, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর রায়ে শুনিয়েছেন, এই সমস্ত কর্মীদের সমস্ত বেতন ফেরত দিতে হবে। ভবিষ্যতে তাঁরা চাকরির কোনো পরীক্ষায় আর বসতে পারবেন না! এমনকি, সিবিআই (CBI) প্রয়োজনে তাদের হেফাজতে (CBI Custody) নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সিবিআই আগেই তদন্তে জানিয়ে দিয়েছিল, গ্রুপ-ডি নিয়োগে ২৮২৩ জনের ওএমআর (OMR) ম্যানিপুলেশন বা বিকৃত করা হয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশন বৃহস্পতিবারই আদালতে তা স্বীকার করে জানিয়েছিল, এর মধ্যে ১৯১১ জনকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ রেকমেন্ডেশন বা নিয়োগপত্র দিয়েছিল। তাঁরা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এবং বিভিন্ন স্কুলে চাকরিরত ছিল। এর আগে, নভেম্বর (২০২২) মাসে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁদের স্বেচ্ছায় ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, সেই নির্দেশ মেনে তাঁরা ইস্তফা দেননি বলেই, আজ শুক্রবার এক ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিকে, তৎকালীন স্কুল সার্ভিস কমিশন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য-কে নিয়েও কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিচারপতি। তিনি বলেন, “সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে নির্দেশ দিচ্ছি, কাদের কথায় এত বেআইনি নিয়োগ হয়েছে, অবিলম্বে তাঁদের নাম জানাতে। তাঁদের নাম জানাতে হবে, কারা এই দুর্নীতিতে যুক্ত।” এর পরেই সুবীরেশকে এই মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। তিনি এও জানান, তাঁর পরিবারকে নিরাপত্তা দেবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। যাঁরা বেআইনি ভাবে নিয়োগ পেয়েছেন, সিবিআই (CBI) প্রয়োজনে হেফাজতে নিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। আর, এখন থেকে কোথাও নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা ব্যবহার করতে পারবেন না সুবীরেশ ভট্টাচার্য। এই প্রসঙ্গে মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, “এই দুর্নীতিতে প্রভাশালীরা থাকবেন না, তা হতে পারে? এই দুর্নীতির সঙ্গে আরও অনেকে যুক্ত। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ে শেষ হবে না।” এদিকে, বেআইনিভাবে নিযুক্ত এই সমস্ত চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীরা ইতিমধ্যে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছেন বলে হাইকোর্ট সূত্রে জানা গেছে। সোমবার সেই শুনানি হতে পারে। যদিও, স্কুল সার্ভিস কমিশন বিষয়টি মেনে নেওয়ায় রায়ের বিশেষ হেরফের হবেনা বলেই আইনজীবীদের মত।
এ প্রসঙ্গে এও উল্লেখ্য যে, আগামী সপ্তাহ থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিযুক্ত ভুয়ো শিক্ষকদেরও চাকরি যেতে চলেছে। আপাতত নবম-দশমের ৮০৩ জনের চাকরি যাবে বলে স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়ে দিয়েছে। সিবিআই এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নবম-দশমে ৯৫২ জনের ওএমআর বিকৃত করা হয়েছিল। এর মধ্যে, অনেকেই (১২১ জন) বিদ্যালয়ে যোগদান করতে পারেননি বিভিন্ন কারণে। ১৫ জনের নম্বর বৃদ্ধি পেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে। ৪ জন স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। ৬ জনের চাকরি আগেই বাতিল করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ২-৩ জনের মামলা আদালতে ঝুলে আছে। বাকি ৮০৩ জনের চাকরি আগামী সপ্তাহ থেকেই যাওয়া শুরু হবে! বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ অনুযায়ী স্কুল সার্ভিস কমিশন এই পদক্ষেপ করতে চলেছে বলে জানিয়েছেন খোদ চেয়ারম্যান ড. সিদ্ধার্থ মজুমদার। তিনি জানিয়েছেন, “আগামী সপ্তাহে আমরা একটি নোটিশ প্রকাশ করব। তারপরই ৮০৩ জনের চাকরি যাওয়ার বিষয়ে ধাপে ধাপে প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।” তবে, নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করার ‘শেষ’ সুযোগ তাঁরা পাবেন বলেও জানানো হয়েছে।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…