তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১০ এপ্রিল:চোলাই মদে ভেসে যাচ্ছে সংসার। ছেলে-স্বামী-শ্বশুর সবাই ডুবে এই মদের বোতলে! অভিযানে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে মহিলাদের। অভিযোগ, গ্রামেরই কিছু শাসক দলের নেতা এবং পঞ্চায়েত সদস্যের পরোক্ষ মদতে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে চোলাই মদের কারবার। এদিকে, সংসারে দিনরাত লেগে আছে অশান্তি! মদ্যপ স্বামীদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে, গ্রামের মহিলারা একত্রিত হয়ে একাধিকবার অভিযান চালালেও, বন্ধ করতে পারেননি চোলাই মদের কারবার। অবশেষে তাই, পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের এই প্রমীলারা। রবিবার, প্রখর রৌদ্র মাথায় নিয়ে চন্দ্রকোনা ১ নম্বর (ক্ষীরপাই) ব্লকের মনোহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হিজলি গ্রামের মহিলারা পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন। তাঁদের কাতর আর্তি, “আমরা ভালোভাবে বাঁচতে চাই। এই অশান্তি থেকে মুক্তি চাই। একটু আশার আলো দেখতে চাই। চোলাইয়ের কারবার বন্ধ হলে তবেই আমরা স্বামী-সংসার নিয়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারব।”

thebengalpost.net
পুলিশের দ্বারস্থ মহিলারা :

রবিবার দুপুর নাগাদ হিজলি গ্রামের ৭০-৮০ জন মহিলা নিরুপায় হয়ে প্রখর রৌদ্রকে মাথায় নিয়েই ক্ষীরপাই পুলিশ ফাঁড়ি ও চন্দ্রকোনা ১নম্বর ব্লকের বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিলেন অবিলম্বে মদ বন্ধ করার দাবিতে। গ্রামের মহিলাদের দাবি, প্রায় এক বছর ধরে গ্রামের বেশ কিছু বাড়িতে মদ এনে বিক্রি করা হচ্ছে। এর ফলে অল্প বয়সী ছেলে থেকে শুরু করে বাড়ির কর্তারা প্রতিনিয়ত মদ খেয়ে নেশায় বুঁদ হয়ে থাকছে। সংসারে নিত্য অশান্তি লেগেই থাকছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শাসকদলের নেতাদের পরামর্শ, “স্বামীদের কন্ট্রোল করো। প্রয়োজনে আমাদের ফোন করো। আমরা পুলিশকে বলে, যারা মদ খাচ্ছে তাদের ধরিয়ে দেব।” তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়ে এদিন মহিলারা অভিযোগ করলেন, “চোলাই কারবারিদের চোলাই মদ তৈরি বা ব্যবসা বন্ধ করার কোনও উদ্যোগ নেই। বলছে, যে মদ খাচ্ছে, তাকে ধরিয়ে দেব! এই দ্বিচারিতার বিরুদ্ধেই আমরা পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি।”