দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১১ এপ্রিল:হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের পরেও তিন ফসলা চাষের জমিতে জোর পূর্বক মাছের ভেড়ি তৈরির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং এর ভেড়ি মাফিয়ারা। অবশেষে, লাল ঝাণ্ডার ঐক্যবদ্ধ মিছিল থেকে কৃষক আর কৃষক রমণীদের স্লোগান উঠলো, “রক্ত দিতে হয় দেব, প্রয়োজনে জীবন দেব; কিন্তু চাষের জমিতে ভেড়ি হতে দেবনা!” সোমবার সবং-এর শীতলদা মৌজা থেকে এক বিরাট মিছিল বের হয়। রামভদ্রপুর কৃষি জমি বাঁচাও মঞ্চের এমন কর্মসূচীতে একের পর এক মৌজার মানুষ সামিল হোন। ধোবাপুকুর, ঠাকুরবাড়ি, রামভদ্রপুর হাইস্কুল পর্যন্ত প্রায় হাড়াই কিমি পথ জুড়ে কৃষিজীবী মানুষের ঢল। নারায়ন চন্দ্র মান্না, বিষ্ণুপদ জানা, সুবলচন্দ্র বেরা, চন্দন মন্ডলের মতো কয়েকশো কৃষকই শুধু নয়; আশা গুইছাইত, নমিতা মান্না সহ শয়ে শয়ে কৃষক রমনী এই প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দেন। লাল ঝান্ডা হাতে নিজেদের জমি ঘিরে ফেলেন। স্লোগান দিতে থাকেন, “রক্ত দিতে হলে দেবে, প্রয়োজনে জীবন দেবে; আমরা চাষের জমিতে ভেড়ি হতে দেবনা। আমাদের চাষের জমি আগের মতো অবস্থায় ফিরিয়ে না দিলে সেই কাজ নিজেরাই করবো।”

thebengalpost.net
মিছিলের সামনে কৃষক রমনীরা :

প্রসঙ্গত, সবং এর রামভদ্রপুর সহ বিভিন্ন মৌজার কৃষকদের অভিযোগ ছিল, চাষ জমিতে আগাছা নষ্ট করার রাসায়নিক ছড়িয়ে এবং জল সেচ বন্ধ করে বিঘার পর বিঘা কৃষি জমির ফসল নষ্ট করে, জমির মাটি তুলে বাঁধ নির্মাণ হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। তা সত্ত্বেও ভূমি দপ্তর ও পুলিশ প্রসাশন নীরব থেকেছে। এখন কৃষক তার জমি বাঁচাতে তাই লাল ঝাণ্ডার আন্দোলনে সামিল হয়েছেন! ভূমি দপ্তর ও পুলিশ প্রসাশন-কে হুঁশিয়ারি দিয়ে দাবি জানানো হয়, এক মাসের মধ্যে জমির মাটি জমিতে বিছিয়ে সমতলিকরণ প্রসাশনকেই করতে হবে। নইলে কৃষকরা সেই কাজ শুরু করবে। জোর করে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে যে সমস্ত কৃষকদের আজ থেকে জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, তাঁরাও এদিনের মিছিলে যোগদান করেছে বলে বাম নেতৃত্ব দাবি করেছে। কৃষকদের সংগঠিত করে বামেদের এই মিছিলে সামিল হন, জেলার বাম কৃষক আন্দোলনের নেতা সুভাষ দে, রামেশ্বর দোলই, সুনীল অধিকারী, শ্রমিক নেতা গোপাল প্রামাণিক প্রমুখ।

thebengalpost.net
ঐক্যবদ্ধ মিছিল :