দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৮ জুন: প্রায় ৫৬ দিন পর খুলেছে স্কুল! আর, এই দিনটার জন্যই যেন অপেক্ষা করছিলেন বছরখানেক আগে বিবাহিত শিক্ষকের তরুণী স্ত্রী। তাই, কালবিলম্ব না করে, সোমবার সকাল এগারোটার আগেই মা-কে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে যান স্বামীর স্কুলের কাছাকাছি। দূর থেকে লক্ষ্য করেছেন, স্বামী স্কুলে আসেন কিনা! নিশ্চিত হওয়ার পরই নিকটবর্তী থানায় চলে যান স্ত্রী। পুলিশ-কে সব বুঝিয়ে সুঝিয়ে, FIR এর কাগজপত্র দেখিয়ে একেবারে সঙ্গে নিয়ে, ছুটির ঠিক আগে আগে পৌঁছে যান স্কুলে। আর, তারপরই শুরু হয় চূড়ান্ত নাটক! ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতন থানার মনোহরপুর রাজা রামচন্দ্র বিদ্যানিকেতন (উঃ মা)-এর। যদিও, স্ত্রী স্কুলে ঢোকার আগেই, বিদ্যালয়ের প্রাচীর ডিঙিয়ে পগারপার হয়ে যান শিক্ষক স্বামী। আর, তারপরই লোকজন জড়ো করে স্কুল প্রাঙ্গণে ধর্নায় বসে পড়েন ওই গৃহবধূ। দাবি করতে থাকেন, “ক্রিমিনাল (স্বামী)-কে যাঁরা পালাতে সাহায্য করেছেন, তাঁরাই ক্রিমিনাল (স্বামীকে)-কে খুঁজে এনে দিন। নাহলে এখানেই আমি আত্মহত্যা করব!” এই ঘটনার জন্য দায়ী করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষকদের। বিদ্যালয় ছুটি হয়ে যাওয়ার পর-ও শিক্ষকদের স্কুলের ভেতরে তালাবন্দি করে আটকে রাখেন ওই গৃহবধূ! সহযোগিতা করেন স্থানীয় লোকজন। এরপর অবশ্য, দাঁতন থানার পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি বেশ কিছুক্ষণ পর স্বাভাবিক হয়।
প্রসঙ্গত, দাঁতন থানার মনোহরপুর রাজা রামচন্দ্র বিদ্যানিকেতন হাই স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ আনেন তাঁর স্ত্রী। গত দু’মাস আগে কেশিয়াড়ি থানায় দায়ের হয় সেই অভিযোগ। তার পর পরই বিদ্যালয় ছুটি পড়ে যায়। গা ঢাকা দিয়ে দেন ওই শিক্ষক! এরপর, সোমবার (২৭ জুন) বিদ্যালয় খোলার পরই, স্বামীকে গ্রেফতারের দাবিতে, পুলিশ-কে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে যান স্ত্রী। জানা যায়, বছর খানেক আগে কেশিয়াড়ি থানা এলাকার বাসিন্দা, বছর ৩২-এর শিক্ষকের সঙ্গে বিয়ে হয় বছর ২৫-এর তরুণীর। সোমবার ওই শিক্ষকের ওই তরুণী স্ত্রী অভিযোগ করেন, “বিয়ের পর থেকেই আমার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। আমি একটা জায়গায় চাকরি করতাম, তাও ছাড়িয়ে দেয়। বাপের বাড়ি যেতে দিতোনা। এনিয়েই গন্ডগোল হয়। আমাকে তাড়িয়ে দেয়। আমি হাতেপায়ে ধরে বলি, যা হয়েছে হয়েছে, আমি সব মেনে নিয়েই থাকব। কিন্তু, আমাকে মেরে তাড়িয়ে দেয়। তাই, ওঁর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা করেছি।” এদিন তাই, স্বামীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে স্কুলে পৌঁছে যান ওই গৃহবধূ। তবে, খবর পেয়েই পালিয়ে যান শিক্ষক। তারপর-ই স্থানীয় লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে, বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তালাবন্দি করে ধর্না চালিয়ে যান তিনি। দাঁতন থানার পুলিশের উদ্যোগে কিছুক্ষণ পর তাঁকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়। তবে, স্বামীকে অবিলম্বে থানায় আত্মসমর্পণ করতে হবে বলে দাবি করেছেন স্ত্রী। ঘটনা ঘিরে স্কুল খোলার প্রথম দিন-ই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায়।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…