তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩১ জানুয়ারি: জেলার এক প্রান্তে মিড-ডে মিলের গুণগত মান পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল, আর অন্য প্রান্তে মিড-ডে মিলের খিঁচুড়িতে আরশোলা ঘিরে চাঞ্চল্য! প্রসঙ্গত, রাজ্যে মিড-ডে মিলের (Mid Day Meal) হাল যাচাইয়ে জয়েন্ট রিভিউ মিশনের (JRM) পরিদর্শন শুরু হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) ওই দল পৌঁছে গেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। জেলার ডেবরা, নারায়ণগড় প্রভৃতি ব্লকে ইতিমধ্যে একাধিক স্কুল পরিদর্শন করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তাঁদের সঙ্গে আছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) কুহুক ভূষণ সহ জেলা ও ব্লক স্তরের অন্যান্য আধিকারিকরা। ডেবরার ধামতোড় বিলেশ্বর প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন ওই প্রতিনিধিরা। খতিয়ে দেখছেন মিড-ডে মিলের গুণগত মান এবং বিদ্যালয়ের পরিবেশ। একটি স্কুলে গিয়ে খাবারও খেয়েছেন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকা ড. অনুরাধা দত্ত। ডাল ও ভাত খেয়েছেন তিনি। তবে, এখনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি এই বিষয়ে। জানা গেছে, ড. অনুরাধা দত্ত উত্তরখণ্ডের জিবি পন্থ কৃষি ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ও নিউট্রশন বিভাগের প্রধান। তিনি গতকাল (সোমবার) কলকাতায় সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, “JRM-এর রিভিউ রুটিন কাজ। প্রতি বছরই কোনও না কোনও রাজ্যে এই পরিদর্শন হয়। পশ্চিমবঙ্গে এবার হচ্ছে। রাজ্যের তরফে আমাদের আগে থেকে কোনও পরিসংখ্যান দিয়ে রাখা হয়নি। আমরা নিজেরা সব দেখব। ৩২টি মাপকাঠি দেখার কথা।”
অন্যদিকে, মঙ্গলবারই (৩১ জানুয়ারি) পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মিড-ডে মিলের খিঁচুড়িতে আরশোলা ঘিরে ছড়িয়ে পড়লো চাঞ্চল্য! চন্দ্রকোনার ধামকুড়িয়া এলাকায় এই খবর পেয়েই পরিদর্শনে গিয়েছেন জয়েন্ট বিডিও। জানা যায়, চন্দ্রকোনা ২ নং ব্লকের কুঁয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধামকুড়িয়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মিড-ডে মিলের খেঁচুড়িতে আরশোলা পাওয়ার অভিযোগকে ঘিরে মঙ্গলবার সকালে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। ওই এলাকার এক বাসিন্দা সুমন রায় বলেন, তাঁর ছেলে ধামকুড়িয়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পড়াশোনা করে। মঙ্গলবার তাঁর ছেলের জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে মিড-ডে মিলের খিঁচুড়ি নিয়ে গেলে, বাড়িতে গিয়ে কৌটো খুলতেই দেখ যায় খিঁচুড়ির মধ্যে আস্ত একটি আরশোলা! সেই খাবার নিয়ে গিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে দেখানো হলে, কেন্দ্রের সহায়িকা ও রাঁধুনিরা অন্যান্য শিশুদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিড-ডে মিলের খিঁচুড়ি না খাওয়ার জন্য নিষেধ করে আসেন। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ধামকুড়িয়া এলাকায়। ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিভাবক থেকে এলাকাবাসী। যদিও এই ঘটনায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকা কাকলি চক্রবর্তী জানান, ঘটনার কথা এক অভিভাবক জানালে আমরা ভুল শিকার করে নিয়েছি।হয়তো এই ঘটনা ঘটতেও পারে। তবে, আমরা তড়িঘড়ি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওই খাবার না খাওয়ার জন্য নিষেধ করে এসেছি। ঘটনার খবর পেয়েই কেন্দ্রে পৌঁছন চন্দ্রকোনা ২ নং ব্লকের জয়েন্ট বিডিও অভিজিৎ পড়িয়া। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখেন তিনি। কথা বলেন এলাকাবাসী ও কেন্দ্রের কর্মীদের সাথে।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…