তনুপ ঘোষ ও মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১১ আগস্ট: জেলা শহর মেদিনীপুর থেকে রেল শহর খড়্গপুর, বেলদা থেকে ঘাটাল, ক্ষীরপাই থেকে সবং, ডেবরা থেকে কেশিয়াড়ি- বেলা ১১ টা থেকে বিকেল ৩ টা অবধি যে পরিমাণ বাতাসা আর নকুল দানা বিক্রি হল, এতদিন কোনো মাঙ্গলিক বা ধর্মীয় উৎসব-অনুষ্ঠানেও নাকি বিক্রি হয়নি! এককথায় স্বীকার করছেন শহর মেদিনীপুরের পঞ্চুরচকের স্বপন থেকে স্কুলবাজারের দুলাল কিংবা ক্ষীরপাইয়ের সুকুমার থেকে বেলদা’র বাসুদেব। বিজেপি থেকে সিপিআইএম, এসএফআই-ডিওয়াইএফআই থেকে যুবমোর্চা কিংবা কংগ্রেস-ছাত্র পরিষদ সবাই মাঠে নেমে পড়েছেন, সাধারণ মানুষকে নকুল দানা আর গুড়-বাতাসা খাওয়াতে! বর্ষার বাজার বলে গুড়-টা একটু কম বিক্রি হয়েছে, তবে বাতাসা আর নকুল দানা গোটা জেলা জুড়ে প্রায় ৪০-৫০ কেজি উড়ে গেছে বলেই খবর। মেদিনীপুর শহরে তো বিজেপি নেতারা রাস্তা আটকে তৃণমূল পৌরপ্রধানকেও ‘নকুল দানা’ খাইয়ে ছেড়েছেন!
বেলা ১১ টা নাগাদ গ্রেপ্তার হয়েছেন ‘পাচন-গুড় বাতাসা-নকুল দানা’ দাওয়াইয়ের জন্মদাতা তথা বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তারপর-ই উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে বিরোধীরা! মেদিনীপুর শহরে বেলা ১২ টা নাগাদ জেলা বিজেপি’র ঘোষিত কর্মসূচিই ছিল, পথচারীদের বাতাসা-নকুলদানা খাওয়ানোর। বেলদা থেকে ক্ষীরপাই, খড়্গপুর থেকে ডেবরা জেলা জুড়ে সর্বত্র-ই এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বামেরা পথে নেমেছে একেবারে ঢেঁড়া পিটিয়ে, ঢাক-ঢোল সঙ্গে নিয়ে। বিকেলে শহর মেদিনীপুরে ‘গরু চোর অনুব্রত’ সাজিয়ে এক কর্মীকে দিয়ে ‘নকুল দানা’ বিলি করা হয়েছে। যা দেখে শুনে তৃণমূলের সাধারণ কর্মীরা বলছেন, “অনুব্রত দা আমাদের জেলে গেলেও, তাঁর দাওয়াই বাংলার ইতিহাসে জায়গা পেয়ে গেল!”