দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ জানুয়ারি: স্বামী পুলিশের চাকরি করতেন। ফুটফটে দুই সন্তানের একজন ক্লাস এইটে এবং একজন ক্লাস ফোরে পড়ে। নিজেও এই সময়ের একটি জনপ্রিয় হারবাল কোম্পানির খাদ্য পণ্য বিক্রির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই সঙ্গে সমাজমাধ্যমেও জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। সমাজমাধ্যম ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে ‘সুস্থ’ থাকার বার্তা দেওয়ার সাথে সাথে, ওই বাণিজ্যিক সংস্থার প্রচারও করতেন তিনি। নিয়মিত যোগ ব্যায়াম ও শরীরচর্চাও করতেন। সেই ছবি বা ভিডিও ফেসবুক মাধ্যমে নিয়মিত আপলোডও করেতন বছর ৩২-র সেই গৃহবধূ। শনিবার ডলি পাত্র নামে পশ্চিম মেদিনীপুরের সেই গৃহবধূরই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে কেশিয়াড়ি থানার আমতলা গ্রামে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ঘটনাটি আত্মহত্যার। কানে ব্লু-টুথ হেডফোন লাগানো অবস্থাতেই তিনি নিজেকে শেষ করে দেন বলে জানা গেছে। যদিও, ঠিক কি কারণে এইভাবে ভরা সংসার ছেড়ে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ওই গৃহবধূ; তার সঠিক কারণ জানা যায়নি এখনও।
জানা যায়, ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি কেশিয়াড়ি ব্লকের বেলুট গ্রামে। আমতলা এলাকায় একটি ভাড়াবাড়িতে, দোতলায় থাকতেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে ওই গৃহবধূর দুই সন্তান স্কুলে যাওয়ার জন্য পাশের রুমে মাকে ডাকাডাকি শুরু করার পরও গৃহবধূর কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। নিচে বাড়ির মালিক সহ প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করার পরও যখন ওই মহিলার কোনো সাড়া পাওয়া যায়না, তখনই সন্দেহ হয়! এরপরই ওই গৃহবধূর পরিজনদের খবর দেওয়া হয়। তাঁরাই এসে দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান ওই গৃহবধূকে। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক সকলে। যদিও, ঠিক কি কারণে দুই সন্তানের মায়া ত্যাগ করে পৃথিবী ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন ওই গৃহবধূল তা এখনও জানা যায়নি।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মহিলা সমাজমাধ্যমে খুব জনপ্রিয় ছিলেন। পাশাপাশি তিনি একটি হারবাল কোম্পানিতে কাজ করতেন। সেখানেও তাঁর যথেষ্ট সুনাম ছিল। প্রতিবেশীদের সঙ্গেও যথেষ্ট সুসম্পর্ক ছিল। পুলিশকর্মী (পশ্চিম মেদিনীপুরেরই একটি এলাকায় কর্মরত ছিলেন) স্বামীর সঙ্গেও কোন অশান্তি ছিল বলে শোনা যায়নি! এদিন সকালে স্থানীয়রা ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়ার পর কেশিয়াড়ি থানায় খবর দিলে দুপুর নাগাদ পুলিশ এসে দেহ নামিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে। পাশাপাশি ওই মহিলার ফোন বাজেয়াপ্ত করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, মহিলার স্বামী বাড়িতে এসে মৃতার দেহ জড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে শুধুই বলতে থাকেন, “তুমি কেন এমন করলে? তোমার কি সমস্যা ছিল আমাকে কেন জানালে না। প্রতিবার বাড়িতে এসে তোমার হাসি মুখ দেখতে পাই। আমার সব শেষ হয়ে গেল!” ঘটনা ঘিরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৬ জানুয়ারি: রবিবার শীতের পড়ন্ত বিকেলে মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৬ জানুয়ারি: শহর মেদিনীপুরের অনয় মাইতি'র আয়োজন মানেই মানবপ্রেম,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৫ জানুয়ারি: অবৈধ বা বেআইনি টোটোর দাপটে জেলা শহর…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ জানুয়ারি: জঙ্গলের মাঝে ১৩০টি আদিবাসী পরিবার নিয়ে পিছিয়ে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২ জানুয়ারি:'রেল শহর' মানেই বিতর্ক। উত্তেজনা। তা সে রাজনৈতিক জগত…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২ জানুয়ারি: বৃহস্পতিবার সাত সকালেই পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শহর…