thebengalpost.net
সপরিবারে কোতোয়ালী থানায় আশ্রয় :

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ নভেম্বর: একেই বলে ‘ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকা’র স্বপ্ন সফল হওয়া! নেশা ছিল লটারি কাটার, স্বপ্ন দেখতেন ‘লাখপতি’ হওয়ার। তবে, উপরওয়ালার দৌলতে হয়ে গেলেন রাতারাতি কোটিপতি। আনন্দ উচ্ছ্বাস তো আছেই, তার থেকেও বেশি ভয়-আতঙ্ক! ভাঙা ঘরে কোটি টাকা রাখবেন কোথায়! তাই, আশ্রয় নিলেন নিকটবর্তী থানায়। ঘটনাটি, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর সদর ব্লকের শিরোমনি এলাকার। আর ওই যুবকের নাম শিশির নন্দী। তিনি রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসাবে জোগাড়ের কাজ করতেন। সারাদিন কাজের শেষে সন্ধ্যের পর মাঝেমধ্যে লটারির টিকিট কিনতেন। কিছুটা নেশায়, আর কিছুটা অর্থ লাভের আশায়। আর, শুক্রবার সন্ধ্যায় তার এই নেশা আর আশা মিলেমিশে একাকার! রাত আটটা নাগাদ পাড়ার লটারির দোকান থেকে শিশির জানতে পারে, এক কোটি টাকার লটারি লেগেছে! যা হয়তো কোনদিনই সে আশা করেনি। অপ্রত্যাশিত বিশাল অংকের এই টাকার ‘লটারি’ নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে শিশির ও তার পরিবার। পুলিশের কাছে খবর দিয়ে রাতেই সপরিবারে প্রতিবেশীদের সাহায্যে কোতোয়ালী থানায় হাজির হয়ে যান।

thebengalpost.net
শক্তি নন্দী কোতোয়ালী থানার সামনে :

জানা গেছে, শিশির তার ছোট্ট দুই শিশু, বাবা-মা ও প্রতিবেশীদের নিয়ে সারারাত কোতোয়ালী থানার ভেতরেই আশ্রয় নিয়েছিলেন। থানার ভেতর থেকেই এদিন তার বাবা শক্তি নন্দী বলেন, “এত টাকা কোনোদিন দেখিওনি আর ভাবিওনি! লটারি ছিনিয়ে নিতে, কেউ কোনোভাবে আক্রমণ করতে পারে, সেই আশংকায় পুলিশের সাহায্য নিয়ে থানায় রয়েছি।” সঙ্গে যোগ করেন, “এবার হয়তো ভাগ্য বদলাচ্ছে। কোন জমি জায়গা নেই। বিঘে চারেক জমি কিনে নিজেদের ছোট একটি বাড়িও বানাবো” তবে, এই ঘটনায় খুশী প্রতিবেশীরাও। যুবকের প্রতিবেশী টুলু হাজরা বলেন, “এরা সকলেই খেটে খাওয়া দিনমজুর। এত টাকা পেয়ে যাওয়াতে সবাই ভয়ে রয়েছে। তাই এদেরকে সকলকে নিয়ে থানায় এসে রাত থেকে আশ্রয় নিয়ে রয়েছি। পুলিশ নিরাপত্তা দিয়েছে। টিকিট থেকে টাকা অ্যাকাউন্টে এলে সমস্ত সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।”

thebengalpost.net
সপরিবারে কোতোয়ালী থানায় আশ্রয় :