দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা ও ঝাড়গ্রাম, ৭ জানুয়ারি: রাত পোহালেই তৃণমূলের ‘নেতাই দিবস’। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি তৎকালীন শাসকদল সিপিআইএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ৪ জন মহিলা সহ ৯ জন গ্রামবাসী! সেই থেকেই দিনটিকে নেতাই শহীদ দিবস পালন করে তৃণমূল। আগে নেতৃত্ব দিতেন শুভেন্দু অধিকারী। গতবছর থেকে (২০২১ এর ৭ জানুয়ারি) অবশ্য শুভেন্দু বিহীন নেতাই দিবস পালন করতে হচ্ছে তৃণমূল-কে। অপরদিকে, বর্তমান বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা এবারও হঠাৎ করে নেতাই গ্রামে পৌঁছে যান কিনা, তা নিয়ে অবশ্য জল্পনা আছেই! তবে, তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের মতো করে সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। বৃহস্পতিবার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেছেন জঙ্গলমহলের ভূমিপুত্র তথা শালবনীর বিধায়ক ও মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত এবং ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। অন্যদিকে, এদিনই (৬ জানুয়ারি) লালগড়ের সিপিআইএম নেতা প্রবীর মাহাত খুনে ছত্রধর মাহাত’র বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা(NIA)। গোয়েন্দাদের অভিযোগ, ২০০৯ সালে ঝাড়গ্রামের সিপিআইএম (CPIM) নেতা প্রবীর মাহাত’র (Prabir Mahato) খুনের পরিকল্পনা ছত্রধরেরই। চার্জশিটে ছত্রধর মাহাতো-সহ ১৭ জনের নাম রয়েছে। ১০০ পাতার চার্জশিটে বলা হয়েছে, খুনের ষড়যন্ত্র করেছিলেন ছত্রধর। তাঁর নির্দেশেই মাওবাদীরা খুন করেন সিপিএম নেতাকে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ১৪ জুন লালগড়ের ধরমপুরে সিপিআইএম নেতা প্রবীর মাহাত’কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়। প্রথমে জেলা পুলিশ এই খুনের তদন্ত শুরু করে। পরে সংশ্লিষ্ট মামলা হাতে নেয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ (NIA)। খুনের ঘটনার প্রায় সাড়ে ১২ বছর পর দেওয়া হল চার্জশিট। এই চার্জশিটে বলা হয়েছে, সেদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ছত্রধর মাহাতো। প্রসঙ্গত, এর আগে রাজধানী এক্সপ্রেস অপহরণের ঘটনার মূল চক্রী হিসাবে ছত্রধর মাহাতোর নামে চার্জশিটে দিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। ৫০ পাতার সেই চার্জশিটে নাম ছিল মাওবাদী নেতা কিষেণজি, ছত্রধরের ভাই শশধর মাহাতো-সহ মোট ১৩ জনের। তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ ছাড়াও ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল। যদিও আগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর অবশ্য এ বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ছাত্রধর মুক্তি পেয়েছিলেন। কিন্তু, লালগড়ে ভোট পর্ব মিটতেই গত ২৮ মার্চ ভোররাতে তাঁকে ফের গ্রেফতার করে NIA। এই গ্রেফতারিকে অবশ্য রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলেই আখ্যা দেয় ছত্রধরের পরিবার। এই মামলায় মাঝে গৃহবন্দি হওয়ার আবেদন জানিয়েও আদালতের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন জনসাধারণ কমিটির সর্বেসর্বা। কিন্তু, আদালত সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। এর মধ্যেই, বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি), নগর দায়রা আদালতে চার্জশিট জমা দিল NIA। আর তাতে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ছত্রধরকেই মূল ষড়যন্ত্রকারী বলা হয়েছে। ছত্রধর-সহ অভিযুক্ত সকলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং বেআইনি কার্যকলাপ বিরোধী আইন (UAPA) এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৩, ৩৬৪, ৪৪৯, ৪৫০ এবং ১২০-র বি ধারায় মামলা দায়ের করেছে এনআইএ (NIA- National Investigation Agency)।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…