তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১২ মে:”বন্যার জল, ভাসে ধরাতল!” ২০২১ সালের আগস্ট মাসে এমনটাই হয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালে। বন্যার জল ঢুকেছিল ঘাটাল উপ সংশোধনাগারে। বন্দীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। কিন্তু, বন্যার জল কবেই শুকিয়ে গিয়েছে, তবে জেলখানা চালু হয়নি আজও! আর, ঘাটাল উপ সংশোধনাগার চালু না হওয়ায়, জামিনে মুক্ত ব্যক্তিকে জেলখানা থেকে বের করে আনতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আইনজীবী থেকে পরিবারের লোকদের।প্রসঙ্গত, ঘাটাল থেকে মেদিনীপুরের দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার। আইনজীবীদের দাবি, এই দীর্ঘ রাস্তা যাতায়াত করতে একদিকে যেমন অর্থের অপচয় হচ্ছে, ঠিক তেমনই সময়ও অনেক বেশি লাগছে। সর্বোপরি, জামিনে মুক্ত ব্যক্তিকে সেই দিনই জেলখানা থেকে বের করা সম্ভব হচ্ছে না। একদিন অতিরিক্ত জেল খাটতে হচ্ছে!
উল্লেখ্য যে, ২০২১ সালের ১ আগস্ট শিলাবতী নদীর জল প্লাবিত হয় ঘাটাল। বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙে বন্যার জল ঢুকে পড়ে ঘাটাল মহকুমা শাসকের কার্যালয় সহ উপ সংশোধনাগারে। মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ঘাটাল উপ সংশোধনাগারের বন্দীদের। বন্যার জলের চাপে ভেঙে পড়ে প্রাচীরের কিছু অংশ, নষ্ট হয় জেনারেটর সহ ইলেকট্রিক লাইন। বছর ঘুরতে চললেও, এখনও চালু হয়নি ঘাটালের উপ সংশোধনাগার। এই বিষয়ে ঘাটাল জেল সুপার তথা ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, “ঘাটালের উপ সংশোধনাগার সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে। খুব শীঘ্রই সংশোধনাগার চালু হবে।”