শশাঙ্ক প্রধান ও মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৭ এপ্রিল: “এক রক্ত বুকের তলে, এক সে নাড়ির টান…!” ফের একবার রক্তের রঙে ছিন্ন হলো ধর্মীয় ভেদাভেদ! মেদিনীপুরের (পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের) শিক্ষক গাইলেন মানবতার জয়গান। একদিকে যখন বিভিন্ন প্রান্তের ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার খন্ডচিত্র উদ্বিগ্ন করে সমাজকে, ঠিক তখনই রামনবমী কিংবা শিবভক্তদের শোভাযাত্রায় মুসলিম সম্প্রদায়ের সরবত তুলে দেওয়া অথবা হিন্দুদের উদ্যোগে ঈদের ইফতার- মাঝেমধ্যেই তুলে ধরে সম্প্রীতির নজিরও। তবে, এই সবকিছুই হয়তো ম্লান হয়ে যায়, যখন এক মুসলিম কন্যার জীবন বাঁচাতে সমস্ত বাধা উপেক্ষা করে ছুটে যান এক হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিক্ষক! আর এভাবেই মানবতার জয়গান গেয়ে বিদ্যাসাগর-মাতঙ্গিনী-ক্ষুদিরামের মেদিনীপুর আবারও একবার পথ দেখায় গোটা বাংলা তথা ভারতকে।
জানা যায়, পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহাড়ের বাসিন্দা রফিক আলির কন্যা রোজিনা খাতুন জটিল রোগের চিকিৎসার জন্য গত কয়েকদিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরের মেছোগ্রাম বড়মা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ছিল রেজিনার অস্ত্রপ্রচার। প্রয়োজন ছিল রক্তের। এদিকে, রোজিনার রক্তের গ্রুপ ‘বিরল’ B নেগেটিভ। চিকিৎসকদের পরামর্শ ও নির্দেশে রক্তের খোঁজে রফিক আলি সরকারি এবং বেসরকারি সমস্ত ব্লাড ব্যাঙ্কে হন্য হয়ে ঘোরেন। কিন্তু, রক্তের গ্রুপ ‘বিরল’ হওয়ায়, ব্লাড ব্যাঙ্কে মেলেনি ‘বি নেগেটিভ’ রক্ত। বিভিন্নভাবে খবর পৌঁছয় মোহাড় বিদ্যাসুন্দরী স্কুলের শিক্ষক তুকারাম পন্ডার কাছে। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি নানা সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গেও যুক্ত থাকেন। এই খবর তাঁর কাছে পৌঁছানো মাত্রই প্রচণ্ড দাবদাহ বা তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করেই পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহাড় থেকে তিনি ছুটে যান (নিজের বাইকে করে) পূর্ব মেদিনীপুরের মেছোগ্রামের উদ্দেশ্যে। রক্ত দান করেন শিক্ষক তুকারাম। তাঁর রক্তেই প্রাণ বাঁচে রোজিনার!
অন্যদিকে, আদর্শ আচরণবিধি লাগু হওয়ার কারণে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করতে পারছেন না বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কিংবা নেতৃত্বরা। ভরসা শুধু বিভিন্ন ক্লাব ও সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগ। এদিকে, ভয়াবহ গ্রীষ্মে বিভিন্ন ব্লাড ব্যাঙ্কেই রক্তের সংকট ক্রমশ গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এগিয়ে এলো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। শুক্রবার জেলা শহর মেদিনীপুরে অবস্থিত জেলা স্বাস্থ্য ভবনে আয়োজিত হয় একটি রক্তদান শিবির। স্বয়ং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক (CMOH) ডঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী নিজে রক্তদান করে শিবিরের সূচনা করেন। CMOH ছাড়াও একাধিক স্বাস্থ্যকর্মী সহ শিবিরে ৫১ জন রক্তদান করেন। এ প্রসঙ্গে এও উল্লেখ্য যে, দিনকয়েক আগেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরাও মেডিক্যাল কলেজের ব্লাড ব্যাঙ্কেই একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন। এছাড়াও, ধারাবাহিকভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে চলেছেন বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং রক্তদান আন্দোলনের কর্মীরা।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…