দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ জুলাই: আলু বোঝাই ট্রাক রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে দেওয়া হচ্ছে। এমনই অভিযোগ করে সোমবার (২২ জুলাই ) থেকে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি এবং পশ্চিমবঙ্গ হিমঘর অ্যাসোসিয়েশন। ফলে হিমঘর খোলা থাকলেও, পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী, গড়বেতা, চন্দ্রকোনা রোড সহ রাজ্যের সর্বত্র কাজ বন্ধ আছে আলু স্টোর বা হিমঘরে। এই পরিস্থিতিতে হিমঘর থেকে বেরোচ্ছে না আলু। ফলে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) থেকেই বাজারে আলুর সঙ্কট দেখা দিতে পারে! ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এমনিতেই এখন বাজারে আলু সহ বিভিন্ন সবজির দাম লাগামছাড়া, এই কর্মবিরতির ফলে তরকারির প্রধান উপকরণ ‘আলু’ যে সাধারণ মানুষের একেবারে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যেতে পারে; তা বলাই বাহুল্য! এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্রুত হস্তক্ষেপ ছাড়া পরিস্থিতি যে জটিল আকার ধারণ করবে, তা মানছেন সব পক্ষই। ফলে ডায়াবেটিস হলে যে আলু খাওয়া বারণ, সেই আলুর চিন্তাতেই এবার ডায়াবেটিস হওয়ার জোগাড় গৃহকর্তাদের!
উল্লেখ্য যে, রাজ্যে আলুর দাম অগ্নিমূল্য হয়ে ওঠার কারণেই, রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্তে ভিন রাজ্য গামী আলু বোঝাই ট্রাক আটকে দেওয়া হচ্ছে বলে প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা গেছে। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের দাবি, ভিন রাজ্যে আলু পাঠাতে না পারলে, চরম ক্ষতির মুখে পড়বেন ব্যবসায়ীরা। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল বলে তাঁদের দাবি। ব্যবসায়ীরা এও দাবি করেছেন, “এমন কিছু আলু আছে, যা এই রাজ্যে বিক্রি হবেনা। সেই সমস্ত গাড়িও সীমান্তে আটকে দেওয়া হয়েছে।” তাই তাঁরা ধর্মঘটের পথে যেতে বাধ্য হয়েছেন বলে দাবি প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির। অপরদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কৃষি কর্মাধ্যক্ষ আশিস হুদাইত সোমবার ব্যবসায়ীদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, এই ধর্মঘট বা কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার জন্য। তাঁর মতে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য নিয়ে এই ধরনের আন্দোলন করা ঠিক নয়। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত হস্তক্ষেপ করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।