দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২০ এপ্রিল:৭২ ঘন্টা সময় দিয়েছিলেন এলাকার কাউন্সিলর অপূর্ব ঘোষ-কে। জঞ্জাল সাফ না করলে, ৭২ ঘন্টা পর কোমর বেঁধে মাঠে নামবেন বলে পোস্টার চিটিয়েছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা সৌরভ নাথ। সোমবার (১৮ এপ্রিল) খড়্গপুর পৌরসভার ৩৪ নং ওয়ার্ডের প্রেমবাজার সোসাইটি এলাকায় পোস্টার চিটিয়ে এভাবেই ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করেছিলেন সৌরভ। তবে, তারপরেও অবশ্য শাসকদলের কাউন্সিলরের কোনো হেলদোল লক্ষ্য করা যায়নি! তাই, আর ৭২ ঘন্টা নয়, ৪৮ ঘন্টা পরেই কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছিলেন সৌরভ। কোমরে গামছা বেঁধে প্রেমবাজার সোসাইটির বাসিন্দা সৌরভ নাথ একাই বুধবার (২০ এপ্রিল) ভোর চারটা থেকে এলাকার জঞ্জাল পরিষ্কার করেন! এরপর, ট্রলিতে করে সেই জঞ্জাল তুলে নিয়ে এসে, প্রেমবাজারের কাছে রাস্তার উপরে ফেলে আগুন লাগিয়ে দেন। পূর্ব ঘোষণা মতো কাউন্সিলরের ব্যর্থতার পোস্টারও ছড়িয়ে দেন রাস্তায়! এরপরই, প্রতীকী অবরোধ শুরু করেন। আর, তারপরই মাঠে নামেন, কাউন্সিলর অপূর্ব’র খেলোয়াড়রা! যানজটের অজুহাত দিয়ে, সৌরভ-কে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। তারপর, তাকে দিয়েই রাস্তা পরিষ্কার করানো হয়। এরপরই, খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ পৌঁছে সৌরভ নাথ-কে আটক করে নিয়ে যায়।

thebengalpost.net
আবর্জনা নিয়ে ট্রলিতে :

পুলিশের গাড়িতে ওঠার আগে সৌরভ জানান, “কাউন্সিলরের ব্যর্থতা ঢাকতে আমাকে মারধর করা হলো। আমি জঞ্জাল পরিষ্কার করে, শান্তিপূর্ন প্রতিবাদ করেছিলাম। আর, গতকাল রাতেই আমি আমার ফেসবুক পেজ থেকে এই প্রতিবাদের কথা ঘোষণা করেছিলাম। একজন ভারতবাসী হিসেবে এটা আমার অধিকার। কিন্তু, কাউন্সিলরের লোকজন- বিশ্বজিৎ, লাল্টুরা এসে আমাকে বেধড়ক মারধর করে। আর, শাসকদলের পুলিশ এসে আমাকেই আটক করে নিয়ে যাচ্ছে। বড়বাবু নাকি আমায় ডেকেছেন। আমি যাচ্ছি। তবে, এত সহজে আমি মাঠ ছাড়ছিনা। প্রতিবাদ চলবে। কেউ আমাকে আটকাতে পারবেনা!” অপরদিকে, অপূর্ব ঘোষ ফোনে জানিয়েছেন, “বুঝতেই পারছেন, কেউ বা কারা ওকে দিয়ে এই সব করাচ্ছে। নাহলে, গোটা খড়্গপুর শহরেই তো জঞ্জাল, আবর্জনা আছে। অপূর্ব ঘোষের ওয়ার্ডেই এই আন্দোলন কেন! আমি কাজ করি, কাজ করি বলেই এবারও মানুষ আমাকে জিতিয়েছেন। কাজেই একজন নেশায় আসক্ত যুবকের কথায় গুরুত্ব দিচ্ছি না! তবে, ইন্ধন যে আছে, এটা পরিষ্কার।”

thebengalpost.net
অবরোধ-আন্দোলনে সৌরভ :

thebengalpost.net
আক্রান্ত হয়ে আবর্জনা তুলছেন সৌরভ :