দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১১ নভেম্বর: রবিবাসরীয় সন্ধ্যাতেও জেলা শহর মেদিনীপুরে প্রচারে ঝড় তুললেন জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থী শ্যামল কুমার ঘোষ। সকালে শালবনীর গোবরু, চৈতা এলাকায় বাড়ি বাড়ি প্রচার করার পর, এদিন সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরের কেরানীটোলা এলাকায় প্রথমে রোড-শো এবং পরে একটি পথ সভা করেন তিনি। এদিনের পথ সভায় প্রার্থী শ্যামল ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কংগ্রেসের মানবাধিকার শাখার কর্মী অনিন্দিতা হালদার, মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি শিলাদিত্য হালদার, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেসের সভাপতি সমীর রায় প্রমুখ। রবিবার দিন ভর প্রার্থী শ্যামল ঘোষের সঙ্গে ভোট প্রচারের সঙ্গী হয়েছিলেন কংগ্রেসের এই রাজ্য ও জেলার নেতৃত্বরা। এদিন সন্ধ্যায় কেরানীটোলার পথ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী শ্যামল ঘোষ বলেন, “এবারের উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীদের আপনারা জয়ী করলে, ব্রিটিশদের দেশ থেকে তাড়ানোর মতোই রাজ্য থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করার লড়াই শুরু করব আমরা। এই অঙ্গীকার আমরা করছি।” তিনি এও বলেন, “শুধু ভাতা দিয়ে কিছু হবে না। শিল্প আনতে হবে। একমাত্র কংগ্রেসই তা পারবে। তৃণমূল চায় মানুষকে বেকার করে রেখে দিতে, যাতে মানুষ ৫০০-১০০০ টাকা ভাতার অপেক্ষায় বসে থাকে!”
কংগ্রেস প্রার্থী এও মনে করিয়ে দেন, “এই মেদিনীপুর শহর থেকে মাত্র ২০-২২ কিলোমিটার দূরে শালবনীতে জিন্দালদের ইস্পাত কারখানা হওয়ার কথা ছিল। তার বদলে হয়েছে সিমেন্ট কারখানা। কেন্দ্রে তখন কংগ্রেস সরকার (UPA Govt.) ছিল। আমাদের নির্বাচিত করুন, আমরা এই মেদিনীপুরেও শিল্প আনব।” এ প্রসঙ্গে এও উল্লেখ্য যে, ভোট প্রচারের প্রথম দিন থেকেই চমক ছিল কংগ্রেস প্রার্থী শ্যামল ঘোষের প্রচারে। দলীয় কার্যালয়ে নিজের হাতে পতাকা বাঁধা থেকে শুরু করে শাসকদলের প্রার্থী সুজয় হাজরার সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় কিংবা শালবনীর কর্ণগড় সংলগ্ন ডাঙরপাড়াতে নিজের গ্রামে গিয়ে ধান ঝাড়াই-মাড়াই করা; এমনকি সাইকেলে করে ধানের বোঝা নিয়ে আসার কাজও করেন তিনি। শনিবার মেদিনীপুর শহরের উপকণ্ঠে নেপুরাতে ট্রাক থেকে ইঁট নামানোর কাজেও শ্রমিকদের সহযোগিতা করেন কংগ্রেস প্রার্থী শ্যামল ঘোষ। নিজেকে তিনি ‘কৃষক বাড়ির সন্তান’ বলে পরিচয় দেন।
তৃণমূলের দুর্নীতি আর বিজেপি-র ‘ভারত বিক্রির চেষ্টা’র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনি সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাবেন বলেও এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি গ্রামে গিয়ে কৃষকদের সাথে কথা বলে বুঝেছি, তাঁরা ধানের দাম পাচ্ছেন না; ফসলের দাম পাচ্ছেন না! আর এর প্রতিবাদ তাঁরা এবারের নির্বাচনে নিজেদের ভোটাধিকারেরর মাধ্যমেই করবেন বলে আমাকে কথা দিয়েছেন।”