দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২ ফেব্রুয়ারি:অকালে নিভে গেল প্রাণ! অদম্য ইচ্ছাশক্তি দিয়ে, প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে এগিয়ে চলেছিল গড়বেতার শ্রীপর্ণা। কোনও দিন সোজা হয়ে দাঁড়ানো দূরের কথা, ভালো ভাবে বসতেই পারতেন না। এভাবেই বাবার কোলে চড়ে স্কুলে যাওয়া। প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে, গড়বেতা কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন ইংরেজি বিষয় নিয়ে। কয়েকদিন আগে ইংরেজি অনার্সের তৃতীয় সেমিস্টারের ছাত্রী শ্রীপর্ণা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু কোলে ঢলে পড়েন। পড়তে পড়তে কন্যাশ্রী প্রকল্পের ২৫,০০০ টাকাও পেয়েছিলেন তিনি। মেয়ের মৃত্যুর পর সেই টাকা কলেজের অধ্যক্ষের কাছে ফিরিয়ে দিলেন তাঁর বাবা-মা। তাঁদের ইচ্ছে, ওই টাকা দিয়ে তহবিল গড়ে, প্রতি বছর কলেজের ইংরেজি অনার্সে সেরা ছাত্র বা ছাত্রীকে পুরস্কৃত করা হোক। যাতে অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা উৎসাহিত হয়। আর, এই পুরস্কারের মাধ্যমেই বাবা-মা বাঁচিয়ে রাখতে চান মেয়েকে।
প্রসঙ্গত, পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা থানার রাধানগরের বাসিন্দা প্রশান্ত নন্দী ও নন্দিতা নন্দীর বড় মেয়ে শ্রীপর্ণা। বাবা প্রশান্ত নন্দী পেশায় ফিজিওথেরাপিস্ট। মা নন্দিতা নন্দী গৃহবধূ। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোটবেলায় একটি ঘটনার পর থেকেই তাঁর নার্ভ ও হাড়ের সমস্যা দেখা দেয়। ক্রমশঃ সেই সমস্যা বাড়তে থাকে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে চিকিৎসা করিয়েও স্বাভাবিক হয়নি। সোজা হয়ে বসতেও পারত পারত না। তবে, কথাবার্তা বলত স্বাভাবিক। লেখাপড়ার প্রবল ইচ্ছে ছিল। জানা গিয়েছে, প্রতিদিন কোলে করে স্কুলে ও কলেজে পৌঁছে দিতেন বাবা-মা। এভাবেই তাঁর এগিয়ে যাওয়া। ২০১৯ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে শ্রীপর্ণা ৬৪ শতাংশ নম্বর পেয়ে সাফল্য অর্জন করেন। ২০২১ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে পান ৮০ শতাংশ নম্বর। এরপর ইংরেজি অনার্সে পড়তে পড়তেই হঠাৎ নিভে গেল প্রাণ প্রদীপ!
মা নন্দিনী নন্দী বলেন, “মেয়ের পাওয়া কন্যাশ্রীর টাকা আমরা কলেজকে ফিরিয়ে দিলাম। বুধবার গোড়বেতা কলেজের অধ্যক্ষ বাড়িতে এসেছিলেন। তাঁর হাতে কন্যাশ্রীর ২৫ হাজার টাকার চেক তুলে দিলাম। আমরা বলেছি, এই টাকা দিয়ে তহবিল গড়ে সেই টাকার একটা অংশ থেকে প্রতি বছর কলেজের ইংরেজি অনার্সের সেরা ছাত্র বা ছাত্রীকে পুরস্কৃত করা হোক। এর মাধ্যমেই আমরা আমাদের মেয়েকে দেখতে চাই।” গড়বেতা কলেজের অধ্যক্ষ হরিপ্রসাদ সরকার বলেন, “খুবই দুঃখজনক ঘটনা। প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল শ্রীপর্ণা। এভাবে অকালে চলে যাবে ভাবতে পারিনি! শ্রীপর্ণার বাবা-মা যে উদ্যোগটি নিয়েছেন তা অভিনন্দন যোগ্য। ওনাদের আবেদন আমরা কলেজ পরিচালন সমিতিতে আলোচনা করবো।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২২ নভেম্বর: আইআইটি (IIT)-র মতো বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে অভাব…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: দোকান বন্ধ করে রাতেই বেরিয়েছিলেন বাইক নিয়ে।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…