দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ এপ্রিল:গত ১২ এপ্রিল পিংলার (পিন্ডরুই গ্রামের) প্রতিবন্ধী যুবতীকে ধর্ষনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে শাসকদলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য অভিজিত মণ্ডল। গত ১৮ এপ্রিল পিংলার পাশেই ডেবরা ব্লকের (যদিও, নির্যাতিতা নাবালিকার বাড়ি পিংলা এলাকাতেই) ৪ নং খানামোহান অঞ্চলে, পঞ্চম শ্রেণীর নাবালিকা (১৩)-কে তার মামাবাড়িতে ধর্ষণ করে মঙ্গল মান্ডি নামে এক যুবক। অভিযোগ, সেও শাসকদলের কর্মী। ঠিক পরেরদিনই অর্থাৎ মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) ডেবরা’র (৫/১) বাড়াগড়ে শেখ ফারুক (৩৪) নামে এক রাজমিস্ত্রি-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১১ বছরের এক নাবালিকাকে যৌন‌ নিগ্রহের অভিযোগে। ধৃত ফারুক মুর্শিদাবাদের সেই সুতি থানার বাসিন্দা, যে এলাকার আরেক রাজমিস্ত্রি সর্বেশ্বর প্রামাণিক গত ৩১ মার্চ ডেবরা’র বাড়াগড়ের মেধাবী ছাত্রী স্পৃহা চক্রবর্তী-কে খুন করে পালিয়ে গিয়েছিল এবং পরদিন (১ এপ্রিল) সে নিজেও (বছর ২৬ এর সর্বেশ্বর প্রামাণিক) আত্মহত্যা করেছিল! এদিকে, ফারুক-কে গতকাল পকসো আইনে মামলা রুজু করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে, মঙ্গল মান্ডি এখনও পলাতক! আর, এর মধ্যেই বুধবার পিংলা থানার জামনা দুই নম্বর অঞ্চলের উজান এলাকায়, বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ফাঁকা মাঠ থেকে এক গৃহবধূর অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিক অনুমান, ধর্ষণ করে খুন!

thebengalpost.net
এখানেই গৃহবধূ’র মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে:

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে উজান এলাকায় ফাঁকা মাঠ দিয়ে ধানের কাজ করতে যাওয়ার সময় একটি পুকুরের সামনে ওই গৃহবধূর অর্ধনগ্ন মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরই, গোটা ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই ভিড় জমান এলাকার সাধারণ মানুষ। জানা যায় উজান গ্রামের বছর ৩৫ এর গৃহবধূর নাম বেহুলা সিং। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আর, পশ্চিম মেদিনীপুর তথা সারা জেলাজুড়ে চলা এই ধরনের খুন-ধর্ষণের ঘটনা প্রসঙ্গে বুধবার পিংলায় দাঁড়িয়ে সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ বললেন, “ধিক্কার রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীকে। তাঁর আর একদিনও পদে থাকা উচিৎ নয়। জঙ্গলরাজ চলছে। এর থেকে হয়তো জঙ্গলরাজও ভালো!” উল্লেখ্য যে, তিনি এদিন পিংলার পিন্ডরুই গ্ৰামের ধর্ষিতা প্রতিবন্ধী সেই যুবতী ও তাঁর পরিবারের সাথে দেখা করেন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন। চিকিৎসার জন্য তুলে দেন, ১৫ হাজার টাকা। পরে, পিংলার উজান গ্ৰামেও যান। নিহত মহিলার স্বামী ও মেয়েদের সাথে দেখা করে কথা বলেন। প্রতিটি ঘটনাতেই তিনি সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

thebengalpost.net
প্রতিবন্ধী যুবতীর পরিবারের সঙ্গে সুশান্ত ঘোষ: