দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৭ নভেম্বর: গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় খড়্গপুর গ্রামীণের উত্তর সিমলা এলাকায় ৬ নং জাতীয় সড়কের উপর বালি ট্রাকের কাগজপত্র দেখতে চেয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন পরিবহন আধিকারিক (এম ভি আই/ Motor Vehicle Inspector) দেবাশীষ কুন্ডু। বালি ট্রাকের চালক সহ বালি মাফিয়ারা তাঁর উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তাঁকে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। ফোন করে খোঁজ নেন খোদ পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। ওই ঘটনায় যদিও ২ জনকে পরে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে, রাজ্য সরকারের নির্দেশে বালি নিয়ে আরও কড়া ভূমিকা গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। শুধু পুলিশের উপর ভরসা না করে প্রশাসনের পক্ষ থেকেই চালানো হচ্ছে বেশিরভাগ অভিযান!
মুখ্যমন্ত্রীর ঝাড়গ্রাম সফরের (১৫ নভেম্বর) অন্তত এক সপ্তাহ আগে থেকে (৭-৮ নভেম্বর) পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে যে অভিযান শুরু হয়েছে, বলাই বাহুল্য আধিকারিকের উপর হামলার পর থেকে তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈধ কাগজপত্র না থাকা, অতিরিক্ত বালি বোঝাই করা- প্রভৃতি কারণে আটক করা হচ্ছে ট্রাক গুলিকে। করা হচ্ছে কড়া জরিমানা! বুধবার বিকেল থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত জিন শহর এলাকায়, কংসাবতী নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা অবৈধ বালি খাদানের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযান চালানো হল জেলা ও মহকুমা প্রশাসনের তরফে। বুধবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবং খড়্গপুর শহরের এসডিও (SDO)’র উপস্থিতিতেই বিকেল ৫ টা নাগাদ ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এরপর, অভিযান চালিয়ে ৫টি অবৈধভাবে বালি তোলা মেশিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। আটক করা হয়েছে ট্রাকগুলিকেও। শুধু পুলিশের উপর ভরসা না করে এবার কড়া ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে কখনও এডিএম (ভূমি ও ভূমি সংস্কার), কখনোবা এসডিও-দের। স্বাভাবিকভাবেই ‘বালি’ ঘিরে এই মুহূর্তে তটস্থ ব্যবসায়ী থেকে ট্রাক মালিকরাও।