দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ৮ জুন: দুপুর ঠিক ১২টা ৩১ মিনিটে CGO কমপ্লেক্সে পৌঁছয় অভিষেক-পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি। এদিন অবশ্য বাড়ি থেকে বেরনোর পর তাঁর গাড়ি যে রুট ধরে, তাতে কিছুটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়। পরে দেখা যায়, পূর্ত ভবনের দিক থেকে গাড়ি ঢোকে সিজিও কমপ্লেক্সে। কালো ফরচুনার গাড়িতে ছিলেন রুজিরা। সূত্রের খবর, রুজিরার জিজ্ঞাসাবাদের সময় উপস্থিত থাকবেন কয়েকজন মহিলা অফিসারও। এর আগে, দুপুর ১২ টা নাগাদ হরিশ মুখার্জি রোডের বাড়ি থেকে বের হন রুজিরা। তিনি বাড়ি থেকে বেরনোর আগে তাঁর বাড়িতে আইনজীবী সঞ্জয় বসু সহ আরেক আইনজীবী পৌঁছে যান।

thebengalpost.net
রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি:

ইডি সূত্রের খবর, রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে কলকাতায় এসেছেন তিন সদস্যের তদন্তকারী দল। দলে রয়েছেন ইডির ডেপুটি ডিরেক্টর পঙ্কজ কুমার ও দু’জন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ২০ মিনিট নাগাদ তাঁরা কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছন। সেখান থেকে সোজা চলে যান সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমবার কলকাতা বিমানবন্দরে আটকানো হয়েছিল রুজিরাকে। সকাল ৭টা নাগাদ দুবাইয়ের বিমান ধরার জন্য দুই সন্তান-সহ কলকাতার বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিমান ধরার আগেই অভিবাসন দফতরের কর্মীরা ‘বাধা’ দেন রুজিরাকে। বেশ কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করার পর বিমানবন্দর ছেড়ে বেরিয়ে যান অভিষেক-পত্নী। অভিবাসন দফতর সূত্রে খবর, ইডি’র একটি মামলায় রুজিরার নামে ‘লুক আউট’ নোটিস জারি হয়েছে। তাই তাঁর বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ রয়েছে বলে দাবি তাদের। অন্যদিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, ইডির ওই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট অভিষেক এবং রুজিরাকে রক্ষাকবচ দিয়ে জানিয়েছিল, তাঁদের বিদেশযাত্রার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই, তা সত্ত্বেও রুজিরাকে বিমানবন্দরে বাধা দেওয়ার বিরুদ্ধে অভিষেক আইনি পদক্ষেপ করতে পারেন।