Recent

River Bank: নদীর গ্রাসে গ্রাম! বসতি বাঁচাতে কোটি টাকার ‘বালির বাঁধ’, আশঙ্কায় পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দারা

তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১১ মার্চ:প্রতিবছর বন্যায় নদী পাড় ধসে গিয়ে শিলাবতীর গ্রাসে চলে যাচ্ছে বহু বসতবাড়ি। বহু যুগ পর, প্রায় কোটি টাকা খরচ করে সেই নদী ভাঙন রোধে পাড় মেরামতের কাজ শুরু করেছে সেচ দপ্তর। তবে, সেচ দপ্তরের কাজে সন্তুষ্ট নন এলাকাবাসী। দাবি, নদীর পাড় কংক্রিটের করার জন্য। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের ভগবন্তপুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের চৈতন্যপুর গ্রাম।শিলাবতী নদীর ধারেই অবস্থিত এই গ্রাম। বছর কুড়ি আগে ১২০০ পরিবারের বসবাস ছিল এই চৈতন্যপুর গ্রামে। প্রতিবছর বন্যায় শিলাবতী নদীর জলের তোড়ে একটু একটু করে নদী পাড় ধসে গিয়ে বহু বসতবাড়ি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। বর্তমানে চৈতন্যপুর গ্রামে ৫০০-৬০০ পরিবারের বসতি ঠেকেছে। গ্রামের গা বেয়ে বয়ে চলা শিলাবতী নদীর ভাঙনের জেরে অনেকেই গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি দিয়েছেন।

তৈরি হচ্ছে বাঁধ :

সেই বাম আমল থেকেই নদী বাঁধ ভাঙনের ঘটনা প্রত্যক্ষ করে আসছেন এলাকাবাসী। কিন্তু, ভাঙন ঠেকাতে কোনও উদ্যোগ নেয়নি সরকার, এমনটাই দাবি বাসিন্দাদের।এবারও পরপর চারটি ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হয়েছে চন্দ্রকোনার এই চৈতন্যপুর এলাকা। বর্তমানে, নদীর জল কমলেও এখনও অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে নদীর ধারে ঝুলে থাকা বাড়ি আগলে বসবাস করছেন। দীর্ঘ বছর পর অবশেষে চৈতন্যপুর এলাকায় সেচ দপ্তরের উদ্যোগে কাঠের বল্লি ও বালি বস্তা দিয়ে নদী ভাঙন রোধে পাড় মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। ৪৫০ মিটার দীর্ঘ শিলাবতী নদীর পাড় মেরামতের জন্য প্রায় ৮৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে কাজ শুরু করেছে সেচ দপ্তর। এদিকে, বহু বছর পর সরকার নদীর ভাঙন রোধে উদ্যোগী হওয়ায়, একদিকে যেমন খুশি এলাকাবাসী, তবে কাজের কাজ কতটুকু হবে তা নিয়েই সংশয়ে তাঁরা! এলাকাবাসীর দাবি, বহু বছর ধরে এই নদীর পাড় ধসে গভীর খাদে পরিণত হয়েছে। তার উপরেই রয়েছে একাধিক বসতবাড়ি। শুধু কাঠের বল্লি আর বালি বস্তা দিয়ে তা ঠেকানো যাবেনা। এই ধরনের বাঁধে ভাঙন রোধ করা আদৌ সম্ভব কিনা, তা নিয়ে সংশয় আছে এলাকাবাসী থেকে শুরু করে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের মধ্যেও। তাঁদের মতে, বর্ষায় নদীর জলের যা স্রোত থাকে, এতো টাকা খরচ করেও তা বৃথা যাবে! তাঁদের দাবি, প্রকৃতই নদী ভাঙন ঠেকাতে হলে স্থায়ীভাবে কংক্রিটের বাঁধ দিতে হবে। এই বিষয়ে ব্লকের বিডিও অমিত ঘোষ জানান, “এবার পরপর চারটি বন্যা হয়েছিল, যার জেরে নদী বাঁধগুলি সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত হয়েছিল। সেচ দপ্তরের পাশাপাশি ব্লক প্রশাসন একশো দিনের কাজে বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রাকৃতিক ভাবে নদী বাঁধের ভাঙন রোধে ভেটিভার ঘাসও লাগানো হয়েছে। আর গ্রামবাসীদের যে দাবি, কংক্রিটের বাঁধ, তা আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানাবো।” এখন দেখার, বর্ষার মরসুম এলে বা বন্যার সময় কতটা কার্যকরী হয় সেচ দপ্তরের তৈরি এই বালি আর বল্লির বাঁধ!

কাঠের বাঁধে অসন্তুষ্ট এলাকাবাসী :

News Desk

Recent Posts

Medinipur: পড়ুয়াদের মিল পরিবেশন থেকে ছাত্রীদের স্বাস্থ্য বিষয়ক বার্তা! দিনভর নানা কর্মসূচিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ সেপ্টেম্বর: প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের নিজের হাতে মিড-ডে মিল…

8 hours ago

Midnapore: মেদিনীপুর মেডিক্যালের মুস্তাফিজুর সহ সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ তিন ‘চিকিৎসক-নেতা’কে সাসপেন্ড করল মেডিক্যাল কাউন্সিল! বাতিল হতে পারে সন্দীপের রেজিস্ট্রেশন

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ সেপ্টেম্বর: অবশেষে প্রবল চাপের মুখে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল…

15 hours ago

Medinipur: শিক্ষক দিবসের দিনই বিদ্যালয়ের ক্যান্সার আক্রান্ত ছাত্রের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য পশ্চিম মেদিনীপুরের পড়ুয়া ও শিক্ষকদের

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৬ সেপ্টেম্বর: জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রত্যন্ত শালবনী ব্লকের…

1 day ago

Midnapore: শিক্ষক দিবসেই ‘চক্ষু পরীক্ষা শিবির’ পশ্চিম মেদিনীপুরের স্কুলে; CCTV বসানোর জন্য ১ লক্ষ টাকা অনুদানের ঘোষণা সহৃদয় ব্যক্তির

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৬ সেপ্টেম্বর: সারা বছর তাঁরা জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করেন…

2 days ago

Medinipur: শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান বন্ধ রেখে পড়ুয়াদের নিয়ে ‘মৌন মিছিল’ হিজলি স্কুলের শিক্ষকদের! প্রতিবাদ-পথে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিও

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৬ সেপ্টেম্বর: আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে শিক্ষক দিবসের…

2 days ago

Midnapore: বার্ড ফ্লু ছড়িয়েছে ওড়িশায়, মুরগি ও ডিম আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা! মেদিনীপুরের সীমান্ত এলাকায় নজরদারি, ট্রেনেও চালানো হবে তল্লাশি

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৬ সেপ্টেম্বর: ওড়িশাতে ছড়িয়েছে বার্ড ফ্লু বা এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা…

2 days ago