দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৫ ফেব্রুয়ারি: “বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎই আমার ফোনে একটা মেসেজ এলো, যেখানে লেখা- ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে একটি বাড়ি নির্মাণের জন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাই!’ নিচে লেখা নরেন্দ্র মোদী।” শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঠিক এমনটাই জানালেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (১) ডঃ সিদ্ধার্থ দত্ত। তাঁর সংযোজন, “প্রথমত আমি এই বাড়ি পাওয়ার উপযুক্তই নই। দ্বিতীয়ত আমি কোথাও কোনও আবেদনও করিনি। ভাবতেও পারছিনা কোথা থেকে এই সব ভুতুড়ে কান্ড ঘটে গেল!” আদৌ সেই বাড়ি তৈরি হয়েছে কিনা, হলে কোথায় হয়েছে, কোন অ্যাকাউন্টেই বা টাকা ঢুকেছে; এসব কিছুই জানেন না বলে দাবি জেলার এই স্বাস্থ্যকর্তার। কিন্তু, তাঁর মোবাইল ফোনেই বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামাঙ্কিত একটি SMS বার্তা (বা, মেসেজ)। লিঙ্কে গিয়ে শংসাপত্রও ডাউনলোড করেছেন তিনি। কিন্তু, কিভাবে এটা হল, তা নিয়েই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলার এই ডেপুটি CMOH (1)!
প্রসঙ্গত, রাজ্য জুড়ে যখন আবাস যোজনা নিয়ে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগে একের পর এক কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হচ্ছে মোদী সরকারের তরফে; ঠিক সেই আবহেই একজন স্বাস্থ্যকর্তার নম্বরে প্রধানমন্ত্রীর মেসেজ ঘিরে শোরগোল পড়েছে। রাজ্য সরকারের অভিযোগ, দুর্নীতির ‘অজুহাত’ দেখিয়ে গরীব মানুষের জন্য বরাদ্দ টাকাও আটকে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে! অথচ স্বাস্থ্যকর্তা কিভাবে আবাস যোজনার বাড়ি পেয়ে গেলেন? তবে কি তাঁর নামে বা তাঁর আধার নম্বর সহ বিভিন্ন তথ্য ভাঙিয়ে অন্য কেউ বাড়ির টাকা তুলে নিয়েছেন? স্বয়ং স্বাস্থ্যকর্তা সিদ্ধার্থ দত্ত বলেন, “সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আমি সঠিক তদন্তের জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হব।”
বিজেপির মেদিনীপুর জেলা মুখপাত্র অরূপ দাসেরও অভিযোগ তেমনটাই। তিনি বলেন, “অদ্ভুত ব্যাপার! লক্ষ লক্ষ গরীব মানুষ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি থেকে বঞ্চিত অথচ একজন স্বাস্থ্যকর্তার নামে বাড়ি বরাদ্দ হয়ে গেল! সেই বাড়ি নির্মিতও হয়ে গেল। এমনটা হতে পারে, ওই স্বাস্থ্যকর্তার ঘাড়ে বন্দুক রেখে কোন তৃণমূল নেতা বাড়ি বানিয়েছেন বা সেই টাকা তুলে নিয়েছেন।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা-র কটাক্ষ, “কেন্দ্রের তথ্যই বলছে আবাস থেকে ১০০ দিনের কাজ- সব থেকে বেশি দুর্নীতি হয়েছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে। আর এক্ষেত্রে সঠিক তদন্ত হলেই বোঝা যাবে কোথা থেকে কি হল! আমাদের দল বা রাজ্য সরকার দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়না।” এ প্রসঙ্গে এও উল্লেখ্য যে, জেলার এই উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসাত এলাকার বাসিন্দা। দুর্নীতি কি তবে ওই এলাকাতেই হয়েছে? স্বাস্থ্যকর্তা সিদ্ধার্থ দত্ত বলেন, “জানিনা কি হয়েছে! এমনটাও হতে পারে এই মেসেজটাই ভুয়ো। মানে ভুল ফোন নম্বরে এসে গেছে! অথবা, আপনারা যেটা বলছেন, তেমনটাও হতে পারে। আমার তথ্য ব্যবহার করে এই জিনিস ঘটানো হয়েছে!” তবে তিনি এও জানান, “৪-৫ বছর আগে আমি লোন নিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছিলাম। সেই সময় কিছু টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছিল। তার সঙ্গে এই মেসেজের সম্পর্ক আছে কিনা তাও বুঝতে পারছিনা!” এই বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক ডঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী বলেন, “আমিও সবেমাত্র শুনলাম এই বিষয়ে। ভুতুড়ে কান্ড-কারখানা মনে হচ্ছে! খোঁজ নিয়ে দেখব।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পূর্ব মেদিনীপুর, ৬ জুলাই: ভারতের বিশ্বজয়ী দলে বাংলার কোনও 'ক্রিকেটার' না…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পূর্ব মেদিনীপুর, ৫ জুলাই: "কিছু অন্যরকম কথা শোনা গেলেও প্রকৃত বাস্তব…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, ঝাড়গ্রাম, ৫ জুলাই: গত শনিবার (২৯ জুন) ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর থানার ভুলনপুর…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, ৫ জুলাই: প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় OMR শিট বা উত্তরপত্রের গুরুত্ব অপরিসীম।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ৫ জুলাই: কেন্দ্রীয় সরকারের একটি গবেষণামূলক প্রকল্পে কাজের সুযোগ রয়েছে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, ৫ জুলাই: বিমানবন্দরে 'ওয়াটার স্যালুট' দিয়ে শুরু। মেরিন ড্রাইভে বিশাল জনসমুদ্রের…