দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৭ অক্টোবর: নিষিদ্ধ শব্দবাজি বন্ধে কঠোর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। চলছে অভিযান। করা হচ্ছে গ্রেফতার। রাজ্যের মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া ইতিমধ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, “অবৈধ বাজি কারখানার সন্ধান‌ দিতে পারলেই পুরস্কৃত করা হবে!” এদিকে, রবিবার, একদিনে প্রায় ৪০ কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি ও বাজি তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হল মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন ধর্মা ও ছেড়ুয়া থেকে। বাজেয়াপ্ত করা ছাড়াও, ২ জনকে গ্রেফতার করলো কোতোয়ালী থানা। শুধু, মেদিনীপুর শহর নয়, রবিবার থেকে জেলার সর্বত্র অভিযান শুরু করা হয়েছে। চলছে সতর্কতামূলক মাইকিংও। অবৈধ বাজি কেনাবেচা সহ সবদিক থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মাইকিং করা হয়। এমন হলে, অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার ও কড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

thebengalpost.net
উদ্ধার হওয়া বাজি:

অন্যদিকে, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মেদিনীপুর শহরের জনবহুল এলাকা কালেক্টরেট মোড়ে শব্দবাজিতে পরিবেশের কি কি ক্ষতি হয় সে বিষয়ে সচেতনতার উদ্যোগ নেয় জেলা পুলিশ। জনবহুল ওই রাস্তার মাথায়‌‌ রবিবার দুপুরে ছৌ নাচের মাধ্যমে শব্দবাজির কুফল বিষয়ে বোঝানো হয় মানুষকে। অপরদিকে, ছেড়ুয়া, আয়তা সহ পাশাপাশি বেশ কয়েকটি গ্রামের অভিযান চালায় পুলিশ। অবৈধ বাজি তৈরির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সামগ্রী। রবিবার ভোররাতে মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন ধর্মা এলাকায় দুটি টোটো করে বাজি ভর্তি করে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ গ্রেপ্তার করে দুজনকে। সেখান থেকে ৪০ কেজি বাজি ও অন্যান্য উপকরণ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে টোটোগুলিও। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “আমরা চাইছি মানুষ সুস্থ স্বাভাবিকভাবে বাঁচুক এবং এই পরিবেশকে যাতে নষ্ট না করে তার জন্য আমরা বারে বারে যেমন অভিযান চালাচ্ছি, তেমনই আমরা এই ছৌ শিল্পীদের দিয়ে সতর্কতা ও সচেতনতার প্রচারও করতে চাইছি। সাধারণ মানুষের প্রতি আবেদন, শব্দবাজি থেকে দূরে থাকুন পরিবেশকে এবং নিজেকে রক্ষা করুন। নাহলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”